সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে খালের দখল নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত এবং উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৭০ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় কয়েক গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় সেনা ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নিহত ওই ব্যক্তির নাম পারুল মিয়া (৫৮), বাড়ি রফিনগর গ্রামে। ঘটনার সময় বাংলাবাজার বাজারে কমপক্ষে ৩০টি দোকান লুট হয়েছে বলে দাবি করেছেন একপক্ষ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের বাংলাবাজার-মির্জাপুর হয়ে মাছিমপুরগামী সরকারি খাল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই রফিনগর ও মির্জাপুর গ্রামবাসীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এই দ্বন্দ্বে দুপক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক দুই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, মির্জাপুরের জাহাঙ্গীর চৌধুরী ও রফিনগরের রেজওয়ান খান। দুপক্ষই সরকারি এই খালের দখল নিতে চায়।
বৃহস্পতিবার মির্জাপুর গ্রামবাসী এই খালে কাটা বাঁশ দিতে গেলে রফিনগর গ্রামবাসী বাধা দেয়। এর জেরে দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দুপক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষের আঘাতে রফিনগরের পারুল মিয়ার মৃত্যু ঘটে। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৭০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুপক্ষের ১০ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা দিরাই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
রফিনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শৈলেন তালুকদার বললেন, বাংলাবাজারের পাশের খাল একপক্ষ চায় ইজারা দিয়ে পাওয়া টাকা মসজিদে দিতে। অন্যপক্ষ দখলে নিয়ে স্বল্প সময়ের জন্য ইজারা দিতে চায়। পরে ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইজারা দিতে বাধা দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার মির্জাপুরের লোকজন বাঁশ দিতে চাইলে, রফিনগর গ্রামবাসী বাধা দেয়। এ নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এ সময় রফিনগরের একজন নিহতসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছে। অন্যপক্ষেও কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষে আশপাশের মাছিমপুর ও বাংলাবাজারের কিছু মানুষ জড়িয়ে পড়েন। ঘটনার পর এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে অবস্থান নেয়।
দিরাই থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে একজন মারা গেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পাঠানো হয়েছে।