বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে মনগড়া আসামি না দিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে মামলা করার কথা বলেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মো. আশরাফুল আলম।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে তিনি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার রাখালিয়া চালা গ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত ইলিম হোসেনের বাড়ি পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, যারা মারা গেছেন বা আহত হয়েছেন তাদের ব্যাপারে রাষ্ট্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে যারা এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে। অযথা মনগড়া আসামি দিয়ে সাংবাদিকদের আসামি করে মামলা করলে সেই মামলায় তো ফলপ্রসূ কিছু পাওয়া যাবে বলে আমি মনে করি না। কাজেই সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা করতে হবে, যাতে ভিক্টমরা ন্যায়বিচার পান এবং দোষীরাও শাস্তির আওতায় আসে।
তিনি আরও বলেন, মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকেও কমিটি করা হয়েছে। তথ্য বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের ব্যাপারে আমরাও সুনির্দিষ্ট তথ্য উপস্থাপন করতে পারব। এর আগে কমিশনের পরিচালক ইলিম হোসেনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা ও ন্যায়বিচারের আশ্বাস দেন। এ সময় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালকের সঙ্গে তার অফিসের কর্মকর্তা ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক কোটাবিরোধী আন্দোলনে সংগঠিত হওয়া বিভিন্ন ঘটনাগুলো পর্যালোচনা ও বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে ‘বাংলাদেশের কোটা ব্যবস্থা, সাম্প্রতিক কোটা আন্দোলন, সহিংসতা ও নাশকতা : কমিশনের পর্যবেক্ষণ’ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নিমিত্তে গত ২১ জুলাই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মো. আশরাফুল আলমকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হলেও এখনো তারা তদন্ত শেষ করতে পারেননি।
মন্তব্য করুন