লালমনিরহাট সদর আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান ও সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি সফুরা বেগম রুমিসহ ৯৯ আ.লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাতনামা আরও ৪০০ জনকে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে দুটি মামলা হয়েছে।
সদর উপজেলার মহেন্দ্রগর ও হারাটী ইউনিয়ন বিএনপি অফিস ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ ঘটনায় ওই মামলা দুটি করা হয়। হারাটী ও মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুল হাকিম খান ও আব্দুল ওহাব মণ্ডল বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
হারাটী ইউনিয়ন বিএনপি অফিস ভাঙচুরের মামলাটি বুধবার দুপুরে আদালতের বিচারক দ্রুত বিচার আইনে সদর থানার ওসিকে রেকর্ডভুক্ত করতে নির্দেশ দেন। অপর মামলাটি গত ৪ সেপ্টেম্বর হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা গত ৫ জুলাই রাত ১০টায় হারাটী ইউনিয়ন বিএনপির অফিসে প্রবেশ করে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে লুটপাট করে। অপরদিকে ৬ জুলাই রাত ৯টায় মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন বিএনপি অফিসে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে লুটপাট করে দেয়ালের ইট পর্যন্ত খুলে নিয়ে যায়। এই দুই ঘটনায় আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন ২০০২ (সংশোধন-২০১৯) এর ৪/৫ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ৯৯ জন নাম উল্লেখ করে আরো ৪শ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে মামলা দায়ের হয়েছে।
আসামিরা হলেন, আ.লীগ নেতা তাহমিদুল ইসলাম বিপ্লব, জেলা যুবলীগ সভাপতি মোড়ল হুমায়ন কবির, যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম খান, অধ্যাপক মো. সাজ্জাত হোসেন শিমুল, জাপা নেতা আশরাফুল আশেকিন রতন, বড়বাড়ি আইর খামারের এসএম আশরাফুল হক মিঠু, মো. কাশেম আলী ডিলার, সুমন সওদাগর, আপেল খান, অ্যাড. রকিবুল ইসলাম খান রুকু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাড. শরিফুল ইসলাম রাজু, জাপা নেতা আব্দুস সালাম সরকার প্রমুখ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আ.লীগে প্রবীণ কয়েকজন নেতা বলেন, আ.লীগের নেতাকর্মীদের নামে ৩টি হত্যা মামলাসহ মোট ৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দায়েরকৃত মামলাগুলো মিথ্যা ও রাজনৈতিক হয়রানিমূলক। এসব মামলা টিকবে না।
সদর থানার ওসি ওমর ফারুক জানান, আদালত থেকে মামলাগুলোর আদেশ থানায় গেলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন