অবিরাম ভারি বর্ষণ ও বন্যায় খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় পুকুর, জলাশয় ও ঘের, লেক তলিয়ে প্রায় ১৪ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। বন্যার পানি চলে গেলেও ক্ষত দৃশ্যমান হতে শুরু করছে। এতে উপজেলার হাজার হাজার মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে।
উপজেলা মৎস্য দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি সৃষ্ট বন্যায় মৎস্য খাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিসাধন হয়েছে। এতে ভেসে গেছে মাছের পুকুর। নিঃস্ব হয়েছেন অনেক মৎস্যজীবী। ভেঙে গেছে কাঁচা ঘরবাড়ি। গৃহহীন হয়েছে অনেক পরিবার। উপজেলার ৫৭০টি বিভিন্ন পুকুর, দিঘি, ঘের ও লেক প্লাবিত হয়ে ১৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে একটি অসাধুচক্র ফেনী নদীতে গত কয়েকদিনে বিষপ্রয়োগ করে অপরিপক্ব মাছ নিধন করে। এতে চরমভাবে মৎস্য আমিষের ঘাটতিসহ ব্যাপকভাবে মৎস্য সম্পদ হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করেছেন সচেতন মহল। শিগগিরই বিষ প্রয়োগ করে মাছ না ধরতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন অনেকে।
৮টি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করেন তাইন্দং ইউনিয়নের মৎস্য চাষি নুরুল ইসলাম। মাছ চাষ করেই চলে তার পুরো সংসার। কিন্তু এবারের বন্যায় সব মাছে ভেসে গেছে সর্বস্বান্ত হয়ে গেছেন তিনি। তার প্রায় ৮ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে বলে জানিয়ে ক্ষতি পোষাতে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের সহযোগিতা কামনা করেন।
রামশিড়া বাজারের পাশে এয়াকুব হোসেন জানান, এ রকম বন্যা আমি কখনোই দেখিনি। আমি শখ করে নিজের পুকুরে মাছ চাষ করি, বন্যায় সব ভেসে গেছে।
তবলছড়ি এলাকার বশর জানান, আমার ৫টি মাছের ঘের ছিল। শখ করে মাছ চাষ করেছিলাম। এখন আমি সর্বস্বান্ত। মৎস্য দপ্তর থেকে কিছু সহযোগিতা পেলে ঘুরে দাঁড়াতে পারব।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরিফুল মোল্লা জানান, আমরা এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি শুরু করেছি। বরাদ্দ পেলে তালিকা অনুযায়ী সহায়তা দেওয়া হবে।