নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় এক মাস আগে রোপণ করা হয়েছে আমন ধানের চারা। জমিতে চারাগুলো সবুজ রং ধারণ করেছে। এরই মধ্যে আমনক্ষেতে পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণ শুরু হয়েছে। কাঙ্ক্ষিত ধানের ফলন নিয়ে দিশেহারা কৃষক।
কেন্দুয়ার একাধিক কৃষক জানান, এক মাসের আগে জমিতে রোপা আমন ধানের চারা রোপণ করেছি। এর মধ্যে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। আমনের মাঠজুড়ে এখন শুধু পোকা আর পোকা। জমির চারাগুলো সবুজ রং ধারণ করামাত্রই দেখা দিয়েছে পাতা মোড়ানো। পরে ধানের পাতা শুকিয়ে বাদামি রং ধারণ করে দিনদিন পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে। কীটনাশক ছিটিয়েও তেমন কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না।
কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের দীর্ঘলকুর্শা গ্রামের কৃষক সেলিম মিয়া জানান, তার জমিতে পোকা আক্রমণ করেছে। কীটনাশক স্প্রে করেও এই পোকা দমন করা যাচ্ছে না। তার মতো একই গ্রামের কৃষক মোস্তাকিম, তারাকান্দিয়া গ্রামের আবুল হাসেম ভুইঁয়া, হায়দার আলীসহ অনেকেই জানালেন তাদের জমিতে পোকার আক্রমণের কথা।
বুধবার (২৮আগস্ট) কেন্দুয়া উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসিন মিয়া দীর্ঘলকুর্শা ব্লকের কৃষক আবুল হাসেম ভুঁইয়ার জমি পরিদর্শন করেন।
তিনি জানান, ধানের গাছগুলোতে পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণ হয়েছে। এই পোকার আক্রমণ থেকে ধানগাছ রক্ষায় কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি পোকা দমনে অনুমোদিত কীটনাশক প্রয়োগের কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা জানান, চলতি মৌসুমে কেন্দুয়া উপজেলার একটি পৌরসভা এবং ১৩টি ইউনিয়নে প্রায় ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ হয়েছে। তবে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ হাজার হেক্টর জমি। নিচু জমিতে পানি রয়েছে তাই পানি কমে গেলে বাকি জমি আবাদের আওতায় আসবে।
এ ছাড়া উপজেলার কয়েকটি ব্লকে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে জানতে পারেন তিনি। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা ব্লকের কৃষকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের পোকা দমনের পরামর্শ দেবেন।