বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত-নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে সাভার উপজেলা বিএনপি।
দলের হাইকমান্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী বুধবার (২৮ আগস্ট) নিহত শহীদ সাজ্জাদ হোসেনের (২৯) সাভারের আউকপাড়া এলাকার ভাড়া বাসায় যান ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সহপরিবার কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাবু।
এসময় তিনি কথা বলেন আন্দোলনে নিহত শহীদ সাজ্জাদ হোসেনের (২৯) বাবা আলমগীর হোসেন (৪৯)-এর সাথে।
এর আগে ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সহপরিবার কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাবু বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ মুজাহিদ (১৫) পিতা ইকরাম, আউকপাড়া এবং মীর আরিফ হোসেন শিপলু (৩৬) পিতা মৃত মীর আশরাফ হোসেন, আউকপাড়াসহ একাধিক আহত আন্দোলনকারীকে দেখতে যান এবং খোঁজখবর নেন।
পরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপ কালে সাবেক এ সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সহপরিবার কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাবু বলেন, ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে পতন হয়েছে স্বৈরাচারী শাসক গোষ্ঠী শেখ হাসিনা সরকারের। আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন শত শত ছাত্র জনতা। এতিম হয়েছে কয়েক শতাধিক পরিবার। আওয়ামী সন্ত্রাস বাহিনী এবং পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন অনেকেই।
দেশের তরে শহীদ এবং আহত বীরদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন।
সেই নির্দেশ বাস্তবায়ন এবং ব্যক্তিগত দায়িত্ববোধ থেকে বিএনপির পক্ষ থেকে আহত ও নিহত পরিবারের চিকিৎসার খোঁজখবর নিচ্ছি।
পারিবারিক অর্থনৈতিক সচ্ছলতা বিবেচনায় আমরা আর্থিক অনুদান দিচ্ছি। সকাল থেকে সাভার আশুলিয়ায় আন্দোলনে আহত নিহত বেশ কিছু পরিবারের কাছে গিয়েছি এবং আর্থিক অনুদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছি।
বিএনপি সরকার যদি নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে তাহলে এসকল পরিবারের সদস্যদের রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি আমাদের দলীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিশ্চিত করেছেন।
ইতোমধ্যে আমি ব্যক্তিগতভাবে সাভারের আহত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর পড়াশোনার পুরোপুরি দায়িত্ব নিয়েছি। বিশেষ করে সাভার-আশুলিয়ায় আন্দোলনে আহত এবং নিহত পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা এলাকাভিত্তিক দলীয় নেতাকর্মীদেরও দায়িত্ব দিয়েছি।
এসময় সালাউদ্দিন বাবু অভিযোগ করে বলেন, আমরা শুনছি ইতোমধ্যে আন্দোলনে শহীদ হওয়া ব্যক্তিদের হত্যার বিচার চেয়ে অনেক পরিবার মামলা করেছে, আবার অনেকে এখনো শোক কাটিয়ে উঠতে না পারায় এখনো আইনের দারস্ত হতে পারেনি।
তবে যে সকল শহীদ পরিবার বিচার চেয়ে মামলা করেছেন সেই সকল পরিবারকে মামলা উঠিয়ে নেয়ার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে চাপ দেয়া হচ্ছে। মামলা না উঠালে হত্যা করা হবে, ঘুম করা হবে এ ধরনের হুমকি ধমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়েছি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং এক ধরনের ধৃষ্ঠতাপূর্ণ আচরণ।
এ সময় সালাউদ্দিন বাবু হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যাদের তাজা রক্তের বিনিময়ে আমরা দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন হয়েছি, ফিরে পেয়েছি কথা বলার স্বাধীনতা এই সকল বীরদের রক্ত আমরা বৃথা যেতে দেব না।
যারা এই হত্যাকাণ্ডের হত্যার সাথে জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। একজন অপরাধীও পার পাবে না। সালাউদ্দিন আরও বাবু বলেন, যদি থানা পুলিশ শহীদ পরিবার এবং আহতদের মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায় তাহলে আমি নিজ দায়িত্বে সেইসব ভুক্তভোগী পরিবারের পাশে থেকে ন্যায়বিচার পেতে মামলা নিশ্চিত করব।
এসময় সালাউদ্দিন বাবু, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতায় দোয়া চান এবং তার দল জাতীয়তাবাদী বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সব ধরনের অন্যায় অত্যাচারের বিচার নিশ্চিতের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাভার থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও একাধিকবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা, সাভার থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন,সাভার থানা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন, ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহীদ,ঢাকা জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাইজুল ইসলাম, সাভার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম মোল্লা,সাভার থানা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল বারেক,আশুলিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন,আশুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ও আব্দুল জলিলসহ আরও অনেকে।