রাঙামাটিতে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে শহরের নিম্নাঞ্চল, বিলাইছড়ি, লংগদু, বাঘাইছড়ি, নানিয়াচল উপজেলায় প্রায় ১৭ হাজার ৩০০ মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। যার মধ্যে লংগদু উপজেলায় ২২০ জন মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। এরইমধ্যে বন্যা দুর্গত এলাকায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪৭ টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তথ্য মতে, কাপ্তাই হ্রদের পানির ধারন ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। হ্রদে পানি রয়েছে ১০৮ দশমিক ৬৮ এমএসএল। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বাঁধের ১৬টি জলকপাট দিয়ে দেড়ফুট করে ৩০ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে পড়ছে। এ ছাড়াও বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৫টি ইউনিট সচল থাকায় এর মাধ্যমে আরও ৩৫ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলিতে যাচ্ছে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ২২০ মেগাওয়ার্ড।
জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের জানান, উজানে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় হ্রদের পানি ছাড়ার পরও পানি বাড়ছে। তাই সকাল থেকে স্পিলওয়ের গেইট এক ফুটের পরিবর্তে দেড় ফুট করে বাধেঁর গেইট খুলে রাখা হয়েছে। যদি পানি আরও বাড়ে তাহলে পানি ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হবে।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, পানিবন্দি মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে বাঁধের পানি ছাড়া অব্যাহত রয়েছে। অল্প কিছু দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি।
মন্তব্য করুন