সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও লালমনিরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদ, লালমনিরহাট-১ আসনের সাবেক এমপি মোতাহার হোসেন, লালমনিরহাট-৩ সদর আসনের সাবেক এমপি মতিয়ার রহমান এবং লালমনিরহাটের সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি সফুরা বেগম রুমীসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এরমধ্যে এমপিরাসহ ৩৭ জনের নামে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় ওই হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এ ছাড়াও এই মামলায় অজ্ঞাত ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে অংশ নেওয়া নিহত মিরাজুল ইসলামের বাবা মামলার বাদী আব্দুস সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ২৫ আগস্ট ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় ওই হত্যা মামলাটি দায়ের করেন তিনি।
আসামিরা হলেন ওই চার এমপি এছাড়াও আ.লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন মোফা, হাবিবুর রহমান হাবিব, গোলাম ফারুক বসুনিয়া, অ্যাড. সরিফুল ইসলাম রাজু, অ্যাড. রকিবুল ইসলাম খান রকু, কাজি নজরুল ইসলাম তপন, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রীর এপিএস ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, আমিনুল খান, যুগ্ম সম্পাদক সাখওয়াত হোসেন সুমন খান, তহমিদুল ইসলাম বিপ্লব, আব্দুস সোহরাব হোসেন, মো. মনসুর আলী, সিরাজুল ইসলাম খন্দকার রানা, সুমন সওদাগর, সবুজ মিয়া, সরওয়ার আলম, সুমন সওয়াদাগর, আতিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, সাজু মিয়া, রুবেল মিয়া, মো. লাকু, পিন্টু মিয়া, শেফাউল, সজীব, গোলাম মোস্তাফা স্বপন, আহসান হাবীব লাভলু, মিলন হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক সুমন, রফিকুল আলম, সাজেদা রহমান সাজু, সালেকুজ্জামান চয়ন, শাওনসহ অজ্ঞাত আরও ২০০-৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করে লালমনিরহাটের আদিতমারী মহিষখোচা গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে মিরাজুল ইসলাম তার বন্ধুরাসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলনে নেমে পড়ে। পরে লালমনিরহাটের চার সংসদ সদস্যসহ বাকি আসামিরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমন করতে দেশীয় অস্ত্র ও পিস্তল নিয়ে ওই শিক্ষার্থীর লালমনিরহাটর বাড়িতে হামলা চালায়। পরে শিক্ষার্থী মিরাজুল ইসলাম বাড়ি থেকে ঢাকায় গিয়ে আন্দোলনে যোগ দেয়। সেখানে মিরাজুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হলে তাকে উদ্ধার করে ডেল্টা মেডিকেলে ভর্তি করান। চিকিৎসকের অভাবে অপারেশন না হওয়ায় তাকে পরে ঢাকা রংপুর মেডিকেল কলেজে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী মিরাজুল ইসলামের বাবা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে ওই ৪ এমপিসহ ৩৭ জনকে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০০-৩০০ জনের বিরুদ্ধে রোববার রাতে ঢাকার যাত্রবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
যাত্রবাড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ৩৭ জনের নামে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জন স্থানীয় সংসদ সদস্য রয়েছেন।
আর্কাইভ 
| ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
