সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের জমি দখল করে বেআইনিভাবে বাগানবাড়ি বানানোর অভিযোগ উঠেছে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের বিরুদ্ধে।
সড়কের পাশের শান্তিগঞ্জ উপজেলা সদরে সাবেক মন্ত্রীর মালিকানাধীন হিজল বাড়িটি নির্মাণের ক্ষেত্রে মহাসড়ক আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। আইনে বলা আছে, ‘মহাসড়কের সংরক্ষণ রেখার মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না’। আইনে ‘সংরক্ষণ রেখা’ বলতে মহাসড়কের উভয় পাশে ভূমির প্রান্তসীমা থেকে দশ মিটার অথবা সরকার কর্তৃক গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নির্ধারিত রেখা বোঝানো হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের হিজলবাড়ির অবস্থান সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের একেবারে কাছঘেঁষা। সড়ক থেকে বাড়িটির দূরত্ব ২ থেকে ৩ ফুট। সড়কের পাশে স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে ১০ মিটার বা ৩৩ ফুটের বাইরে নির্মাণের যে বাধ্যবাধকতা এ ক্ষেত্রে সেটি লঙ্ঘন করা হয়েছে। আইনের প্রয়োগ হলে পুরো বাড়িটিই উচ্ছেদ করতে হবে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে।
আইনজ্ঞদের অভিমত, মহাসড়কের স্লোপ থেকে ১০ মিটার বা প্রায় ৩৩ ফুটের ভেতরে নির্মিত সব ধরনের স্থাপনা অবৈধ। আইন অনুযায়ী এ জাতীয় স্থাপনা উচ্ছেদে সড়ক ও জনপথ বিভাগের আশু ব্যবস্থা নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অন্যথায় তারাও আইন লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত হবেন।
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধর)-এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ও বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম কালবেলাকে বলেন, সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী যদি সড়কের জায়গা দখল করে বাগানবাড়ি নির্মাণ করে থাকেন তবে অবিলম্বে তা উচ্ছেদ করতে হবে। সাবেক সরকারের উজ্জ্বল ভাবমূর্তির একজন মন্ত্রী ছিলেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। শেষতক দেখা যাচ্ছে উনিও রাষ্ট্রের সম্পদ লুণ্ঠনকারী!
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম প্রামাণিক কালবেলাকে বলেন, সাবেক মন্ত্রীর বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে আইনের ব্যত্যয় হয়েছে কিনা আমরা সার্ভেয়ার পাঠিয়ে দেখব। এ ক্ষেত্রে আইনের লঙ্ঘন হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর থেকে আত্মগোপনে থাকায় প্রতিবেদনে সাবেক মন্ত্রী এমএ মান্নানের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মন্তব্য করুন