শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৪৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চৌদ্দগ্রামের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খাদ্যের জন্য হাহাকার

আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। ছবি : কালবেলা
আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। ছবি : কালবেলা

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রের থাকা এক ৬০ বছরের বৃদ্ধা আঙ্কুরের নেছা জানিয়েছেন আমরা এই আশ্রয়কেন্দ্রে সঠিকভাবে কোনো খাবার পাচ্ছি না। গত বৃহস্পতিবার সকালে এ আশ্রয় কেন্দ্রে আমি আমার পরিবারের ৫ সদস্য নিয়ে আশ্রয় নিয়েছি। মাঝে মধ্যে কিছু খাবার পাচ্ছি। অনেক সময় রাতে উপবাস থাকতে হচ্ছে।

সোমবার (২৬ আগস্ট) রাতে আমাদের কিছু মুড়ি আর গুড় দিয়ে যাওয়া হয়। সকালে কোনো খাবার দেওয়া হয়নি। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে সামান্য খিচুড়ি খেয়েছি।

এদিন সরেজমিন আশ্রয়কেন্দ্রে ঘুরে দেখা যায়, চরম খাদ্য সংকটে ভুগছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বানবাসী মানুষ। দুইদিনে পাচ্ছেন একবেলার খাবার। খাদ্যের জন্য মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে হাহাকার। আশ্রয়কেন্দ্রের মানুষের অভিযোগ, আমাদের খবর কেউ রাখছেন না।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চৌদ্দগ্রামে ১টি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নের বানবাসী মানুষের জন্য ২৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ। তাদের অভিযোগ, সরকার বা বেসরকারিভাবে তারা খাবার পাচ্ছে না। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্রে ঘুরে পাওয়া গেছে এমন চিত্র।

রিনা বেগম নামে এক নারী বলেন, বন্যা আক্রান্ত হয়ে ঘর-বাড়ি ছেড়ে এই আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছি। দুইদিনে একবেলার খাবার পাচ্ছি। কোলের মাসুম বাচ্চাদের খাবার দিতে না পারায় রাত-ভর কান্না কাটি করে।

খিরণশাল আলিম মাদ্রাসার আশ্রয়কেন্দ্রের এয়াছিন বলেন, উপজেলা সদর থেকে এ আশ্রয়কেন্দ্রেটি ভেতরে হওয়ায় এখানে কোনো ত্রাণসামগ্রী আসছে না। দুইদিন পর একবার শুকনো খাবার আসে। বৃহস্পতিবার এ কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছি ৬ সদস্য নিয়ে। আমরা খাবার সংকটে ভুগছি।

আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মিতল্লা গ্রামের ৬৫ বছর বৃদ্ধা আনোয়ারা বেগম বলেন, সর্বনাশা বন্যা আমার ঘর বাড়ি সব ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার থেকে এ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছি। ঠিকমতো কোনো খাবার পাচ্ছি না। দুইদিনে একবার এ কেন্দ্রে শুকনো খাবার আসে। অনেকটা অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে।

চৌদ্দগ্রাম ইউএনও রহমত উল্যাহ বলেন, চৌদ্দগ্রামে ত্রাণের সংকট রয়েছে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি এ সংকট মোকাবিলা করার। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে খাবার পৌঁছানোর জন্য বিত্তশালীদের আহ্বান জানান তিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দিনমজুরকে গলা কেটে হত্যা, ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

জাবিতে কোনো কমিটিই নেই, হত্যাকাণ্ড নিয়ে অপপ্রচার চলছে : ছাত্রদল

মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ গেল গৃহবধূর

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান আটক

দেশের ৩ অঞ্চলে হিট ওয়েভের শঙ্কা

ঢাকাস্থ গণচীনের দূতাবাসের প্রতিনিধিদলের ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ

চট্টগ্রামে হাতকড়া পরে ফিরল সাবেক এমপি ফজলে করিম

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা প্রতিরোধে একমত যুক্তরাষ্ট্র-ফ্রান্স

প্রধান উপদেষ্টার / সহকারী প্রেস সচিব হলেন দুই তরুণ সাংবাদিক

শিক্ষকদের দ্বন্দ্ব, শিক্ষাব্যবস্থায় অচলাবস্তা

১০

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে ধূম্রজাল

১১

গণপিটুনির ঘটনায় / জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার

১২

জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন তারেক রহমান

১৩

বিশেষ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিচার দাবি লায়ন ফারুকের

১৪

জাবিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা, এক সমন্বয়ককে অব্যাহতি

১৫

ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের

১৬

মাদারীপুরে কৃষককে পিটিয়ে হত্যায় মানববন্ধন

১৭

জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন গ্রিডের টাওয়ার পদ্মায় বিলীন

১৮

দীঘিনালায় দুপক্ষের সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

১৯

তিন মাস ধরে ১৪০০ চা শ্রমিকের মজুরি বন্ধ

২০
X