রাজশাহীর চারঘাটে ভারি বর্ষণে পদ্মার পানি বৃদ্ধির ফলে বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যেতে পারে দুটি প্রাইমারি স্কুলসহ কয়েকটি গ্রাম। কংক্রিট দিয়ে বাঁধ না থাকায় হুমকিতে রয়েছে কয়েক হাজার বসতভিটাসহ টাঙ্গন সরকারি প্রাইমারি স্কুল ও পিরোজপুর সরকারি প্রাইমারি স্কুল। উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, চারঘাট উপজেলায় প্রায় ২২ কিলোমিটার পদ্মা নদী তীরবর্তী এলাকা রয়েছে।
তীরবর্তী এলাকাগুলোর মধ্যে ইউসুফপুর, মোক্তারপুর, টাঙ্গন, কুঠিপাড়া, থানাপাড়া, গোপালপুর, চন্দনশহর, পিরোজপুর ও রাওথা অন্যতম। এর মধ্যে পুলিশ একাডেমি সংলগ্ন এলাকা, মোক্তারপুর ক্যাডেট কলেজ সংলগ্ন এলাকা, ইউসুফপুর কলেজ সংলগ্ন এলাকা ও টাঙ্গনের কিছু এলাকায় বাঁধ রয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, ইউসুফপুর ইউনিয়নের টাঙ্গন মধ্য পাড়া, পৌরসভার মোক্তারপুর, গোপালপুর, পিরোজপুর ও চারঘাট ইউনিয়নের রাওথার কিছু অঞ্চলের মাটি দিয়ে দেওয়া বাঁধ বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। স্কুল ভবন রক্ষার্থে স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের এখনো কোনো কাজ শুরু হয়নি বলে জানিয়েছেন টাঙ্গন সরকারি প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাখিসা বানু।
এরই মধ্যে স্কুল সংলগ্ন বাঁধ পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে লিখিত একটি প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান। গত শুক্রবার সরেজমিন দেখা যায়, টাঙ্গন মধ্যপাড়ার নদী তীরবর্তী এলাকায় গত এপ্রিলে সংস্কারের নামে ২০০৫ সালে নির্মিত বাঁধের ব্লকগুলো তুলে ফেলা হয়।
হঠাৎ নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ব্লকগুলোর ভাঙন প্রতিরোধে স্বল্প পরিমাণে জিও ব্যাগ ওই এলাকার নদী তীরবর্তী এলাকায় ফেলে যান ঠিকাদাররা।
পাউবি, রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অঙ্কুর কালবেলাকে বলেন, ৪০০ মিটার নিরাপত্তা বাঁধ পুনর্বাসন প্রকল্পে পুরোনো ব্লক তোলা হয়েছিল। আকস্মিকভাবে পানি বেড়ে যাওয়ায় আবারও পুরোনো ব্লকসহ জিও ব্যাগ ফেলে প্রাথমিকভাবে বন্যার পানি রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।