টাঙ্গাইলে নিজ বাড়িতে বিছানায় শুয়ে ব্যথায় কাতরাচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত শিমুল। তার ডান পায়ে এখনো ৫টি গুলি রয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরির স্বপ্ন ছিল শিমুলের। কিন্তু এখন পায়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ায় তার ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় আছে পরিবার।
সোমবার (২৬ আগস্ট) পা থেকে গুলি বের করার জন্য শিমুলকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট পুলিশের গুলিতে আহত হন শিমুল। তিনি টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার মঙ্গলহোর গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে। উপজেলার পাথরাইল বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় থেকে গত বছর এসএসসি পাস করেছেন। তার চার ভাইয়ের মধ্য তিনিই বড়।
শিমুল বলেন, টাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমার বন্ধুদের সঙ্গে শহরের আম ঘাট এলাকায় অবস্থান নেই। একপর্যায়ে পুলিশ অর্তকিতভাবে আমাদের লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে আমরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যাই। সেই সময় আমার দুই পায়েই গুলিবিদ্ধ হই। বিশেষ করে ডান পায়ে অনেকগুলো গুলি লাগে। তখন রাস্তায় পড়ে ছিলাম। পরে আন্দোলনকারীরা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
শিমুল আরও বলেন, অনেকগুলো গুলি বের করা হয়েছে। হাসপাতালে ৭ দিন ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে আসি। আমার ডান পায়ে এখনো ৫টি গুলি রয়েছে।
শিমুলের বাবা শহীদ মিয়া বলেন, আমার চার সন্তান। আমি একজন হতদরিদ্র। মাইক ভাড়া দিয়ে বিভিন্ন জায়গাতে প্রচারের কাজ করে সংসার চালাই। স্বপ্ন ছিল শিমুল সেনাবাহিনীতে চাকরি করবে। সংসারের হাল ধরবে। এই আন্দোলনে আমার সব শেষ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সুলতান মাহমুদ বললেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় শিমুল বন্ধুদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করে। এতে দুই পায়েই গুলিবিদ্ধ হয়।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. সাদিকুর রহমান বলেন, গুলিগুলো এমন গভীরে চলে গেছে যা খুঁজে বের করা অনেক কষ্টকর। এক্স-রে ফ্লিমে যত সহজে দেখা যায় তত সহজে পাওয়া যায় না। গুলিতে রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
মন্তব্য করুন