জয়পুরহাটে ১১ বছরের এক স্কুলছাত্রীকে বাল্যবিয়ের অপরাধে বর, বরের খালা ও মেয়ের মাকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে শহরের সাহেবপাড়া এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. রাশেদুল ইসলাম।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জয়পুরহাট শহরের সাহেবপাড়া এলাকায় ফয়জুল হকের ছেলে বড় নাহিদ হাসান, তার খালা রুমা ও মেয়ের মা মাজেদা।
জানা গেছে, সোমবার দুপুরে বর নিয়ে তাদের আত্মীয়স্বজন কনের বাড়িতে চলে আসেন। স্থানীয় এক মৌলভি বর ও কনের বিয়ে পড়ান। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয়রা ইউএনও ও পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম। উপস্থিতি টের পেয়ে অনেকে পালিয়ে যান।
আটক হন বর নাহিদ হাসান (২০), কনের মা ও বরের খালা। বিচারকের কাছে তারা দোষ শিকার করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে নাবালিকাকে বিয়ে করা ও বিয়ে দেওয়ার অপরাধে মেয়ের মাকে ১৫ দিন, বর নাহিদ ইসলামকে ১ মাস ও বরের অভিভাবক হিসেবে বরের খালাকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। ওই দিন বিকেলে সদর থানা পুলিশ তিনজনকে জয়পুরহাট কারাগারে পাঠান।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাশেদুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশু শিক্ষার্থীর বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হই। বর, কনের মা ও বরের খালা মৌলভি দিয়ে বিয়ে দেওয়ার কথা স্বেচ্ছায় স্বীকার করেন। তারা দোষ শিকার করায় তাদের সাজা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, শুধু আইন প্রয়োগ করে বাল্যবিয়ে বন্ধ করা সম্ভব নয়। এ জন্য সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এগিয়ে আসতে হবে সচেতন নাগরিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে।
মন্তব্য করুন