রংপুরের মিঠাপুকুরে প্রায় ২শ আম গাছ সাবাড় করেছে দুর্বৃত্তরা। এমন অমানবিক কর্মকাণ্ডকে ধিক্কার জানিয়ে সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলেছেন- গাছের কি অপরাধ? প্রতিপক্ষের নির্মমতায় প্রায় ২শ বারি-৪ জাতের আম গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এমনকি গাছ কাটার পর সেই বাগানের ভেতরেই আম গাছগুলো জ্বালিয়ে দিয়েছে তারা। এর আগেও বাগানটির আম গাছ কেটে দুর্বৃত্তরা জমি দখলের চেষ্টা করেন বলে জানান বাগানের মালিক একরামুল হক।
ভুক্তভোগীর দাবি, রোববার (২৫ আগস্ট) বিকেলে তিন ভাই ইমদাদুল হক, এনামুল হক, রেজাউল করিম এবং ভাতিজা মুন্নাসহ কয়েকজন জোরপূর্বক বেআইনিভাবে আম বাগানের পশ্চিম পাশে প্রায় ২২ শতাংশ জায়গার দেড়শতাধিক আমের গাছ কেটে ফেলেন।
তিনি দাবি করে জানান, আম বাগানের ভেতরে কাটা গাছগুলোকে একত্র করে বাঁশের খুঁটি এবং নেটসহ পেট্রল দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। খবর পেয়ে তিনি গিয়ে দেখেন, শুধু গাছের গোড়া এবং পোড়া গাছের ছাই পড়ে আছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিঠাপুকুর উপজেলার ময়েনপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ফুলচৌকি গ্রামের এসহাক আলীর পাঁচ ছেলে বাবার মৃত্যুর পর জমির সমবণ্টন করে দখলকৃত সম্পত্তিতে ভোগ-দখল করে আসছিলেন। কিন্তু ইসহাকের তৃতীয় ছেলে একরামুল ঢাকায় থাকায় তার অংশের জমিতে ভাই ইমদাদুল হক, এনামুল হক, রেজাউল করিম চাষাবাদ করতেন। পরে একরামুল হক ঢাকা থেকে বাড়িতে গিয়ে সেই জমিতে বারি-৪ জাতের আম গাছ লাগান। ওই জমিতে তিন ভাই চাষাবাদের সুবিধা না পেয়ে বিবাদ সৃষ্টি করেন এবং একরামুলের জমি দখলের পাঁয়তারা করেন বলে অভিযোগ করেন।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, আমরা বাধা বা নিষেধ করেছি, কিন্তু তারা কেউ আমাদের কথা শোনেনি।
অভিযুক্তদের দাবি, আমাদের জমির গাছ আমরা কেটেছি। একরামুলের জমির গাছ ওর জমিতেই আছে।
এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ কালবেলাকে জানান, এ বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন