পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৪, ০২:৪৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কক্সবাজারে ছুরিকাঘাতে শ্রমিক দল নেতা খুন

শ্রমিক দল নেতা শহিদুল ইসলাম শওকত। ছবি : সংগৃহীত
শ্রমিক দল নেতা শহিদুল ইসলাম শওকত। ছবি : সংগৃহীত

কক্সবাজারের পেকুয়ায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে শ্রমিক দল নেতা শহিদুল ইসলাম শওকত খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় তার দুই ভাই গুরুতর আহত হন।

সোমবার (২৬ আগস্ট) রাত ১০টায় পেকুয়া বাজারের পশ্চিমে পেকুয়া বাজারের পশ্চিম পাশে ওয়াপদা অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

শহিদুল ওই ভোলাইয়্যাঘোনা এলাকায় মৃত শফিউল আলমের ছেলে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন- নিহতের ভাই শাকের (২৭) ও একই এলাকার দেলোয়ার হোসেনের পুত্র তারেক (১৮)।

আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে চমেকে প্রেরণ করে। চমেকে যাওয়ার পথে শ্রমিক নেতা শহিদের মৃত্যু হয়। সে সদর পশ্চিম জোন শ্রমিক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

স্থানীয়রা জানান, পেকুয়া সদর পশ্চিম জোন শ্রমিক দলের দুটি পক্ষ রয়েছে। একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন পশ্চিম জোন শ্রমিক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, অপর পক্ষটির নেতৃত্ব দেন সাবেক সহসভাপতি বদিউল আলম ও সাজ্জাদুল ইসলাম। এই দুটি পক্ষ যথাক্রমে পেকুয়া উপজেলা শ্রমিক দলের সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ ওসমান ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হারুনুর রশিদের অনুসারী।

শ্রমিক দলের অন্তত ৬-৭ জন নেতা জানিয়েছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে শ্রমিক দলের দুই পক্ষই পেকুয়া সিএনজি, টেম্পো, অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের লাইন দখল নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। এর জের ধরে ও দলের অন্তঃকোন্দলের জেরে ছুরিকাঘাতের ঘটনাটি ঘটেছে।

শ্রমিক দলের নেতারা আরও বলেন, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে গত রোববার রাতে শহিদুল ইসলাম শওকত এবং সাজ্জাদুল ইসলামের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। বিষয়টি উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও পেকুয়া সদর ইউপির চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ পর্যন্ত গড়ায়। তিনি সোমবার সকাল ১০টার দিকে দুইপক্ষকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে বিরোধ মীমাংসা করে দেন এবং বিশৃঙ্খলা করলে দল থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেন। এরপর রাত আটটার দিকে ভোলাইয়াঘোনা রাস্তার মাথায় সাজ্জাদুল ইসলামের এক চাচাত ভাইকে মারধর করেন শওকত ও তার ভাই শাকের। এ ঘটনার জের ধরে সাজ্জাদুল ইসলামের লোকজন দলবদ্ধ হয়ে শওকত, সাকের ও তারেকের ওপর আক্রমণ করে। এতে তিনজনই ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন।

নিহত শওকতের আত্মীয়-স্বজনরা জানান, লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর লাশ সেখান থেকে পেকুয়া নেওয়া হবে।

এদিকে পেকুয়া উপজেলা শ্রমিক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হারুনুর রশিদ বলেন, হতাহত ও হামলাকারী সবার সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। এখানে শ্রমিক দল কিংবা শ্রমিক সংগঠনের কোনো বিষয়ে সম্পৃক্ততা নেই। আমার সঙ্গে যে ওসমানের বিরোধের কথা বলা হচ্ছে, সে ওসমানের সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। হামলার কথা শুনে আমি আর ওসমান দুজনে একসঙ্গে হাসপাতালে গিয়েছি।

উপজেলা শ্রমিক দলের সিনিয়র সহসভাপতি ওসমানের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াছ কালবেলাকে বলেন, হামলার ঘটনা শোনার পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠায়। কারা খুন করেছে, কী কারণে এবং কেন খুন করা হয়েছে তথ্য নিচ্ছি। লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ

জাবিতে গণপিটুনির ঘটনায় ৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার

জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন তারেক রহমান

বিশেষ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিচার দাবি লায়ন ফারুকের

জাবিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা, এক সমন্বয়ককে অব্যাহতি

ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের

মাদারীপুরে কৃষককে পিটিয়ে হত্যায় মানববন্ধন

জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন গ্রিডের টাওয়ার পদ্মায় বিলীন

দীঘিনালায় দুপক্ষের সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

তিন মাস ধরে ১৪০০ চা শ্রমিকের মজুরি বন্ধ

১০

নীতিমালার খসড়া অনুমোদন / সম্পদের হিসাব দিতে হবে উপদেষ্টাদেরও

১১

জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন গ্রিডের টাওয়ার পদ্মায় বিলীন

১২

বিটকয়েনে বার্গারের দাম পরিশোধ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

১৩

ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৭

১৪

চর দখলের মতো সাংবাদিক সংগঠনগুলো নিয়ন্ত্রণের অপচেষ্টা চলছে : শওকত মাহমুদ

১৫

নেতাকর্মীদের জরুরি নির্দেশনা দিল আ.লীগ

১৬

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের নির্মাণসামগ্রী ও গবাদিপশু দিল বিএনপি

১৭

ছেলে নিহতের চার ঘণ্টা পর মারা গেলেন বাবা

১৮

আন্দোলনে থাকা নেতাকর্মীদের পেছনে রাখার সুযোগ নেই : আমিনুল হক 

১৯

দেড় মাসেও হদিস মেলেনি বগুড়া থানার লুট হওয়া অস্ত্রের

২০
X