জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ছাত্র-জনতার অর্জনকে ম্লান করে দিতে দেশের মধ্যে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। ছাত্র-জনতা সজাগ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্র দেশের ক্ষতি করতে পারবে না।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের মধ্যে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে জামায়াতে ইসলামী। সোমবার (২৬ আগস্ট) বেলা ২টার দিকে বরিশালের মুলাদী উপজেলার শহীদ আলতাফ মাহমুদ অডিটরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে তিন উপজেলায় আটজন শহীদ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ২ লাখ টাকা করে ১৬ লাখ টাকা প্রদান করা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন মুলাদী উপজেলা জামায়াতের আমির আমির মাওলানা মো. আবু ছালেহ। প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে ছাত্র-জনতার বিজয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার পালিয়ে গেছে। আমরা একটি নতুন স্বাধীন দেশ পেয়েছি। হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ সম্মান আমাদের রক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকার অবৈধভাবে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিল। মহান আল্লাহতায়ালা সেই হাসিনাকে দেশ থেকে বিদায় করে দিয়ে জামায়াত-শিবিরকে এ দেশের মাটিতে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, বরিশাল জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবদুর জব্বার, বরিশাল মহানগর জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর।
বরিশাল মহানগর জামায়াতের শূরা ও কর্মপরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম খসরু, জামায়াতে ইসলামীর নেতা মাওলানা শামীম সাইদী।
মুলাদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুস ছত্তার খান, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মো. আবিদুর রহমান হুমায়ুন, সদস্য সচিব মো. কাজী কামাল, জামায়াত নেতা মো. সালাউদ্দিন কাওসার।
উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মো. আবদুল মালেক ও জামায়াত নেতা আবদুল মোতালেবের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, কাজিরহাট থানা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা আবুল হোসেন, হিজলা উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মো. নুরুল আমিন।
মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির মো. শহিদুল ইসলাম,জামায়াত নেতা আবদুল মোতালেব, বরিশাল জেলা ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি মো. আবদুল কাদির, উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. ছাজেন মাহমুদ প্লাবন, নিহত জিহাদের বাবা মোশাররফ হোসেন পাইক, রিয়াজ মাহমুদের বড়ভাই মো. রেজাউল করিম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত রাজধানী ঢাকায় মুলাদী উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের খৈলারচর গ্রামের হাফেজ মো. সিফাত হোসেন, দক্ষিণ কাজিরচর গ্রামের মো. জিহাদ হোসেন।
হিজলা উপজেলার বড় জালিয়া খুন্না গোবিন্দপুর গ্রামের মো. শাহীন রাড়ী, বাহেরচর গ্রামের মো. আতিকুর রহমান, বড়জালিয়া ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের মো. রিয়াজ মাহমুদ, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া পানবাড়িয়া গ্রামের শাওন খান, বাজিৎখাঁ ইউনিয়নের মো. আসিব এবং কাজিরহাট থানার ভাসানচর ইউনিয়নের মো. মারুফ নিহত হন।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানান এবং তাদের হাতে নগদ টাকা তুলে দেন।