আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপের গ্রেপ্তারের খবরে মাদারীপুরের কালকিনির বিভিন্ন জায়গায় মিষ্টি বিতরণ করেছে সাধারণ জনগণ। সোমবার (২৬ আগস্ট) সকালে গোলাপের নিজ এলাকা কালকিনির উত্তর রমজানপুরসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় এ মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
এর আগে গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর নাখালপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মিষ্টি বিতরণের পাশাপাশি এলাকার জনগণ গোলাপের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও দাবি করেন।
জানা যায়, জীবিকার তাগিদে আমেরিকা গিয়ে ট্যাক্সি চালাতো গোলাপ। অতিরিক্ত আয়ের জন্য মাঝে মাঝে পিৎজা ডেলিভারিও করত সে। কিন্তু শেখ হাসিনার সান্নিধ্যে বদলে যায় গোলাপের জীবন। এলাকায় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না থেকেও হয়ে ওঠে আ.লীগের কেন্দ্রীয় বড় নেতা। পাশাপাশি ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী। আর এরই সুবাদে কামিয়ে নিয়েছেন হাজার হাজার কোটি টাকা। ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে পেয়ে যান মাদারীপুর-৩ আসনের নৌকার টিকেট এবং হয়ে যান সংসদ সদস্য। এর পর তার দুর্নীতি যেন আকাশ ছুঁতে শুরু করে। আ.লীগ সরকারের পতনের পর গতকাল গোলাপ গ্রেপ্তার হলে তার উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন কালকিনির সচেতন মহল।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা তার মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন।
সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আ. জলিল আকন জানান, ২০১৭ সালে মুক্তিযোদ্ধা যাচাইবাছাইকালে গোলাপকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্থানীয় কিছু মুক্তিযোদ্ধারা সাক্ষ্য দেন। এরই প্রেক্ষিতে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে এখন শুনছি যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন তারা গোলাপের চাপে পরে দিয়েছিলেন। যদি পুনরায় যাচাইবাছাইতে গোলাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তবে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।
স্থানীয় সচেতন মহল বলেন, গোলাপের দুর্নীতির অনেক চিত্র কালকিনিতে রয়েছে। আমাদের দাবি বর্তমান সরকার গোলাপের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করবেন।
মন্তব্য করুন