বরিশালের উজিরপুরের সাতলা বাজারে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। মৎস্য খামার নিয়ে বিরোধের সূত্র ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
শনিবার (২৪ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে উপজেলার সাতলা ব্রিজের পশ্চিম পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন ইদ্রিস হাওলাদার ও তার চাচাতো ভাই সাগর হাওলাদার।
স্থানীয়রা জানান, সাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার, তার ভাই যুবলীগ নেতা আসাদ হাওলাদার এবং এদের চাচাতো ভাই ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস হাওলাদারের সঙ্গে মাছের ঘের নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল নিহত ইদ্রিস হাওলাদারের।
চার মাস আগে তাদের তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে মাছের ঘের লুটপাটের মামলা করেন ইদ্রিস হাওলাদার। তাতে কারাগারেও যান শাহীন, আসাদ ও ইলিয়াস হাওলাদার। কিছুদিন আগে কারাগার থেকে বেরিয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন তারা।
শনিবার রাত ১০টার দিকে ব্যবসায়ী ইদ্রিস হাওলাদার তার চাচাতো ভাই সাগর হাওলাদারকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে সাতলা ব্রিজের পশ্চিম পাড় অতিক্রম করছিল। দুর্বৃত্তরা তাদের পথ আটকে দুজনকে কুপিয়ে জখম করে। ঘটনাস্থলে মারা যান ঘের মালিক ইদ্রিস হাওলাদার।
আহত অবস্থায় সাগর হাওলাদারকে উদ্ধার করে প্রথমে আগৈলঝাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হলে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে রোববার (২৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান তিনি।
ইদ্রিস হাওলাদারের স্ত্রী রেশমা খানম বলেন, আমাদের একটি মাছের খামার (ঘের) নিয়ে আরেকটি পক্ষের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। আমার স্বামীকে ওই পক্ষটি বিভিন্ন সময়ে হত্যার হুমকিও দিয়েছিল। এ নিয়ে আমার স্বামীর দায়ের করা মামলায় প্রতিপক্ষরা জেলেও যান। অনেক চেষ্টা করার পরও আমাদের ঘের দখলে নিতে না পেরে আমার স্বামীকে ও দেবরকে কুপিয়ে হত্যা করে ফেলেছে।
উজিরপুর মডেল থানার ওসি মো. জাফর আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের টিম অভিযান শুরু করেছে। নিহতদের পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলেই মামলা দায়ের করা হবে। নিহত দুজনের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
মন্তব্য করুন