বন্যার পানিতে ভাসছে পুরো ফেনী জেলা। বিপদে রয়েছে হাজারো মানুষ। ঘরবাড়ি ছেড়ে তারা আশ্রয় নিয়েছেন উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে। এর মধ্যে দাগনভূঞা আতাতুর্ক সরকারি মডেল হাই স্কুলের আশ্রয়কেন্দ্রের এক আশ্রয়প্রার্থীর ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।
খবর শুনে উপহার নিয়ে সদ্যজাত শিশুটিকে দেখতে আতাতুর্ক সরকারি মডেল হাই স্কুলে ছুটে যান দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিবেদিতা চাকমা।
আশ্রয়কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাতুর্ক স্কুলের শিক্ষক মোহাম্মদ শাহীন বলেন, রাত ১০টায় একজন এসে জানালো, ১৫ নম্বর কক্ষে এক সন্তানসম্ভাবা নারীর ব্যথা উঠেছে। তখন আমি খোঁজ নিয়ে বন্যা দুর্গতদের জন্য গঠিত মেডিকেল টিমকে কল দিলাম। তিনি বলেন, চিকিৎসক সবকিছু শুনে একটা ঔষধ সাজেস্ট করলেন। ওষধ কিনে এনে খাইয়ে চিকিৎকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে বললাম। পরে ইউএনওকে ঘটনাটি জানালে সরকারি হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরেরদিন বেলা ১১টায় ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।
দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিবেদিতা চাকমা কালবেলাকে বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। তাদের মধ্যে সন্তানসম্ভবা এক নারীও রয়েছেন। ওই প্রসূতি সন্তানের জন্ম দেন। এটা অনেকগুলো খারাপ খবরের মাঝে আনন্দের খবর।
তিনি আরও বলেন, মা ও শিশুটির শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। শিশুটির জন্য বালিশ, কম্বল, জামাকাপড় সবই কিনে দেওয়া হয়েছে।