ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় চুরির ঘটনা বেড়েছে। চোরদের কবল থেকে রক্ষা পাচ্ছে না গরুর খামারিরা। চুরি হচ্ছে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকসহ মোটরসাইকেলও। এসব ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে চোরের আতংক বিরাজ করছে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে বড়হিত ইউনিয়নে বৃ-পাঁচাশি নদীর পশ্চিম পাড়ে আব্দুল মজিদের বড় ছেলে মুহাম্মদ খোকন মিয়ার একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চুরি হয়েছে। একই সপ্তাহে ওই এলাকায় একটি বসতঘরেও চুরির ঘটনা ঘটেছে।
তার আগে গত মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাতে একই ইউনিয়নে পুরাহাতা গ্রামে আব্দুল গণি মিয়ার ৩টি গরু ও আব্দুল সাত্তার মিয়ার ১টি গরু চুরি হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, গভীর রাতে পিকআপ ভ্যান নিয়ে বিভিন্ন রাস্তার পাশের খামার থেকে গরু চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ হাইওয়ে দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় চোরাই গরুবাহী পিকআপ। রাত জেগে পাহারা দিয়েও নিস্তার মিলছে না। পুলিশে অভিযোগ করেও পাচ্ছেন না সহযোগিতা। এমন পরিস্থিতিতে চুরি আতংকে দিন কাটছে স্থানীয়দের।
ইজিবাইকচালক খোকন মিয়া বলেন, অনেক কষ্ট করে একটা অটো কিনছি। অটো চালিয়ে যা আয়-রোজগার করি তা দিয়েই সংসার চলে। এটাই ছিল আমার শেষ সম্বল।
এ ছাড়া ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকায় বাসার ভেতর থেকে এক ব্যাংক কর্মকর্তার মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যায় একটি চোর চক্র। শুক্রবার রাতে ওই মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের দত্তপাড়া কালীবাড়ি এলাকায় কছিম উদ্দিনের বাসার দ্বিতীয় তলায় ভাড়ায় থাকেন ব্যাংক কর্মকর্তা রুহুল আমিন।
রুহুল আমিন বলেন, প্রতিদিনের মতো আমি বাইরের কাজ শেষে শুক্রবার রাতে নিচ তলায় গ্যারেজে গাড়িটি রেখে ওপরে ঘুমিয়ে যাই। পরে শনিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার গাড়িটি সেখানে নেই। তারপর অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে গাড়িটি না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি।
বড়হিত ইউনিয়নে চেয়ারম্যান আজিজুল হক মিলন বলেন, আমার ইউনিয়নে চুরি বৃদ্ধি পাচ্ছে এটা দুঃখজনক। ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারদের নিয়ে আলোচনা করেছি এবং সব গ্রাম পুলিশদের সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, জিডি হয়েছে কি না আমার জানা নেই। যদি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।