ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দীর্ঘ ৪০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এই সড়কে যাতায়াত করা যাত্রী ও চালকরা। তবে সাধারণ শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবীরা মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাকগুলো এক লেন করে দিয়ে ফেনী ও মিরসরাইয়ে বন্যা আক্রান্ত মানুষদের উদ্ধারের জন্য রেসকিউ টিম, নৌকা ও বোটবাহী গাড়ি এবং ত্রাণবাহী গাড়িগুলো যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে।
জানা গেছে, ফেনীর মুহুরীগঞ্জ থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত মহাসড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে করে যান চলাচল বন্ধ থাকে। শনিবার (২৪ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত মহাসড়কে যানজট ও পানি দেখা গেছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনের মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া থেকে ফেনী পর্যন্ত হাজারও গাড়ি আটকা পড়েছে। উল্টোপথে ত্রাণবাহী গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে। আবার অনেক গাড়ি যানজটে আটকা রয়েছে। তবে দূরপাল্লার কোনো যাত্রীবাহী বাস দেখা যায়নি এইদিন।
যানজটে আটকা পড়া ট্রাকচালক মো. মজিবুর রহমান কালবেলাকে জানায়, চট্টগ্রাম থেকে মালবোঝাই করে ঢাকার কেরানীগঞ্জ যাওয়ার উদ্দেশে শুক্রবার সন্ধ্যায় রওয়ানা হই। এখন পর্যন্ত মিরসরাইয়ে আটকা পড়ে আছি। আল্লাহ ভালো জানেন কখন এই যানজট থেকে মুক্তি পাব।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১০ ঘণ্টার অধিক সময়ে যানজটে আটকে আছি। ঠিক সময়ে যদি মাল ডেলিভারি দিতে না পারি এতে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।
ক্যার্ভাডভ্যানচালক মিজান হাওলাদার কালবেলাকে জানায়, শুক্রবার রাতে স্ক্র্যাপ নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার মহাখালী যাওয়ার জন্য যাত্রা করি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত মিরসরাইয়ে যানজটে আটকা পড়েছি। আমি প্রায় দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা ধরে এই জ্যামে বসে আছি।
তিনি আরও বলেন, রাত হলে ভয় কাজ করে। শুক্রবার রাতে মিরসরাইয়ের অনেক জায়গায় ডাকাতির ঘটনা শুনেছি। আমাদের অনেক গাড়ি ঘুরিয়ে আবার চট্টগ্রামের দিকে চলে গেছে।
যোগাযোগ করা হলে জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ (ওসি) সোহেল সরকার বলেন, বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকামুখী লেইনে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। মিরসরাই পৌর সদর থেকে ফেনী পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজট রয়েছে। ফেনীর লেমুয়া এলাকায় মহাসড়কে পানি থাকায় এই যানজট সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক থেকে পানি চলে গেলে এই যানজট থাকবে না।
মন্তব্য করুন