কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে পুরো উপজেলা। এটি স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা বলে জানান ক্ষতিগ্রস্তরা। ঘরে রক্ষিত মালামাল রেখে জীবন বাঁচাতে নিরাপদে আশ্রয় যেতে পারলেও মূল্যবান জিনিসপত্র রেখে আসতে হয়েছে তাদের। এ সুযোগে বিভিন্ন এলাকায় প্রচার করা হচ্ছে চোর ও ডাকাত মালামাল নিয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, একটি পৌরসভাসহ ১৬টি ইউনিয়নের মানুষ কমবেশি এবার বন্যায় পানিবন্দি হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাড়ি থেকে কোনোরকম জামাকাপড় ও নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে হচ্ছে।
পাকা সড়কে হাঁটুপানি। হাজার হাজার একর মৎস্য খামারের মাছ বাঁধ ভেঙে চলে গেছে। কোটি কোটির টাকার ক্ষতি হয়েছে মৎস্য চাষিদের। পৌরসভার কিছু অংশে বিদ্যুৎ থাকলেও পুরো উপজেলা কবে বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক হবে তা এখনো নিশ্চিত নয়।
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুরাইয়া আক্তার লাকি জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে উপজেলা প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ ছাড়াও বিভিন্ন স্থান থেকে খবর পাওয়া গেছে চুরি ও ডাকাতি হচ্ছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী মাঠে রয়েছে। চুরি ডাকাতির কোনো প্রমাণ মেলেনি। এ সময় সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানান তিনি।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি ফজলুল হক বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর আসছে চুরি ডাকাতি হচ্ছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা মাঠে আছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোথাও চুরি বা ডাকাতির সত্যতা পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন