অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে গোমতী ও সালদা নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে দুই দিকের ঢলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছেন অসংখ্য পানিবন্দি মানুষ।
বানভাসি অসহায় মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দিতে ও তাদের খাবার এবং সুপেয় পানির নিশ্চয়তায় কাজ করছেন বিএনসিসির সদস্যরা।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দিনব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
বানভাসি মানুষকে উদ্ধার ও খাদ্যসামগ্রী পৌঁছানোর কাজে অংশগ্রহণ করেছেন উপজেলার সাহেবাবাদ ডিগ্রি কলেজ ও মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বিএনসিসির দুটি দল।
জানা গেছে, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের বাগড়া, মানরা, মল্লিকা দীঘি, তেঁতাভূমি, নাগাইশ, চৌব্বাস, দেউশসহ দশটি ও মালাপাড়া ইউনিয়নের অলুয়া, রামনগর, মনোহরপুর, আসাদনগর ও মালাপাড়াসহ ছয়টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়াও নতুন নতুন এলাকাও প্লাবিত হচ্ছে।
গোমতী নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ও সালদা নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে এসব এলাকা প্লাবিত হলে শুক্রবার সকাল থেকে বিএনসিসির সদস্যরা পানিবন্দিদের উদ্ধার কাজ শুরু করেন। উপজেলার দক্ষিণে গোমতী নদীর বাঁধ ও উত্তরে সালদা নদীর বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করলে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এ দুটি প্রতিষ্ঠানের বিএনসিসি সদস্যরা কাজ করছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স ম আজহারুল ইসলাম বলেন, বন্যাকবলিত এলাকায় আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার, খাবার, পানি ও ওষুধ সরবরাহে উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে উপজেলার দুটি প্রতিষ্ঠানের বিএনসিসি সদস্যরা মাঠে নিয়োজিত আছে। উপজেলার বন্যা প্লাবিত এলাকায় বন্যাদুর্গতের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বন্যার পানিতে আটকা পড়া মানুষকে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে। তাদের গবাদিপশুসহ সম্পদ রক্ষার চেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ছাড়াও আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে কোনো ধরনের সমস্যা যাতে না হয়, সে জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন