বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে অনলাইন কোচিংয়ের ভর্তির টাকা আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনকে দিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ঘোষণা দিলেন যশোরের এক অনলাইন কোচিং সেন্টারের শিক্ষক।
যশোরের 'শাহারিয়া ম্যাথ' নামের একটি অনলাইন কোচিং সেন্টারের শিক্ষক শাহারিয়া অপু তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে এ স্ট্যাটাস দেন। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাত ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে তিনি এ স্ট্যাটাস দেন এরপর ২০ মিনিটের মধ্যে প্রায় ৮ জন শিক্ষার্থী ভর্তি সম্পন্ন করেছেন এবং তাদের ভর্তির প্রায় চার হাজার টাকা আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনসহ অনান্য সাহায্যকারী সংগঠনের নিকট পৌঁছে গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন শিক্ষক শাহারিয়া অপু।
তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে বন্যাকবলিত এলাকার কয়েকটি ছবি দিয়ে লিখেছেন, '৫০ শতাংশ ছাড়ে ৫০০ টাকায় Shaharia Math এ যারা ভর্তি হতে চান, তারা টাকাটা আমাদের না দিয়ে সরাসরি বন্যাকবলিত মানুষের পাশে কাজ করছে এমন কোনো প্রতিষ্ঠানকে বা আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনকে দিন এবং আমাদেরকে শুধু স্ক্রিনশট দিলেই ভর্তি করে নেব ইনশাআল্লাহ। শুধু একটা Subject এর জন্য। আল্লাহ আপনার দানকে কবুল করুক। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ২০ মিনিট থেকে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাত ১০টা পর্যন্ত ভর্তি হতে পারবেন।' শাহারিয়া অপু জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর সকল ম্যাথ বিষয়ে ভর্তি চলছে। অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়। তার অনলাইন কোচিংয়ে ভর্তির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে প্রায় এক শতাধিক।
শাহারিয়া অপু বলেন, 'জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর সকল ম্যাথ বিষয়ে ভর্তি শুরু হয়েছে। বন্যাকবলিত মানুষের দুর্দশা দেখে আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার কোচিংয়ে ভর্তির টাকা আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন অথবা এমন কোনো সংগঠনকে বিকাশ বা নগদে প্রেরণ করে তার স্ক্রিনশট আমাদের দিলে আমরা সেসব শিক্ষার্থীকে ভর্তি করে নেব। আমরা চাই, সবাই যার যার অবস্থান থেকে একটু ত্যাগ স্বীকার করে অসহায় বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে।'
প্রসঙ্গত, টানা ভারি বৃষ্টি ও বাঁধ খুলে দেওয়ায় ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢলে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। বন্যার পানিতে লাখ লাখ মানুষের বাড়িঘর-ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। সেসব এলাকায় তৈরি হয়েছে মানবিক বিপর্যয়। এর মধ্যে চার জেলায় আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আরও অনেক হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।