বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ বলেছেন, স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার ১৭ বছর জগদ্ধল পাথরের মতো বাংলাদেশের মানুষের বুকের ওপর চেপে বসেছিলো। মানুষ নিশ্বাস পর্যন্ত নিতে পারে নাই। তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গেলেই রাজাকার বলা হতো। এটা বলতে বলতে এদেশের কোমলমতি শিশুদের প্রেসার সহ্য করতে না পেড়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতা ছেড়ে দেশ থেকে পালাতে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) বিকেল ৪টায় ভোলা উকিল পাড়া তার নিজ বাসভবন শান্ত নীড়ে গিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের ৩শ আসনে ৩শ জন জল্লাদ বসে এমন কোনো অপকর্ম নাই যা তারা করেনি। তাদের অহংকার আর দাম্ভিকতাই আল্লাহ তাদের পতন ঘটিয়েছে। কোনো অত্যাচারীর জায়গা এই ভোলাতে থাকবে না। গত ১৭ বছর তোফায়েল আহমেদ ও তার আত্মীয়রা এমন কোনো অন্যায়, অত্যাচার, জুলুম নির্যাতন নাই যা তারা করেনি।
স্বাধীনতার পরে ভোলায় ৫টি রাজনৈতিক হত্যা হয়েছে কিন্তু তাদের বিচারতো দূরের কথা একটি মামলাও করতে দেওয়া হয়নি। ভোলায় নাজিউরের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে নাজিউরকে জেলে পাঠানো হয়েছে। আজ নাজিউর ও শাহজাহানের সন্তানরা ভোলাতে আছে কিন্তু তোফায়েলসহ তার আত্মীয়রা ভোলা থেকে পালিয়ে গেছে। এই সব আল্লাহর বিচার। তিনি তোফায়েল আহমেদ ও তার পরিবারের উদ্দেশ্যে বলেন, আজ আপনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কিন্তু আপনার বাড়িতে একটি ইটের টুরাও পড়েনি। এটাই আপনার মধ্যে আমাদের পার্থক্য। তাই বড় নেতা হওয়ার চেয়ে ভালো মানুষ হওয়া অনেক উত্তম।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ড যেন তাদের অপমানিত না করে। আজ মানুষ ও দেশের কল্যাণে ড. ইউনূসের সরকার যে পদক্ষেপ নিবে আমরা তার পাশে আছি এবং থাকবো।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, ভোলা জেলা বিজেপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম রতন, সাধারণ সম্পাদক মোতাছিম বিল্লা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আন্দোলনের সময় দ্বিতীয়বার কারাবরণ শেষে আন্দালিব রহমান পার্থ ঢাকা থেকে লঞ্চ যোগে দুপুর ১টায় ভোলায় পৌঁছালে তার আগমনে নেতাকর্মীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ঢল নামে। ভারী বৃষ্টি উপেক্ষা করে ইলিশা থেকে ভোলা পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার রাস্তায় তাকে ফুল ছিটিয়ে অভ্যর্থনা জানায়।