দুদকের করা একটি দুর্নীতি মামলায় নড়াইল পৌরসভার সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাসসহ ৬ জনের ৭ বছরের সাজা বহাল রেখেছেন যশোরের আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা যশোরের স্পেশাল জজ আদালতে হাজিরা দিলে আদালত তাদের সাজা মওকুফের আবেদন (লিভ টু আপিল) বাতিল করে সাজা বহালের রায় দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, নড়াইল পৌরসভার রূপগঞ্জ পশুরহাটের ২০০৯ সালে হাটবাজার ইজারা নীতিমালার শর্ত ভঙ্গ করে ৩ সনের ইজারা মূল্য ১ লাখ ৯৬ হাজার ৬৬৫ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট পৌর মেয়রসহ ৮ জনের নামে নড়াইল সদর থানায় মামলা হয়।
বিজ্ঞ স্পেশাল জজ আদালত দণ্ডবিধি ৪০৯, ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তি দেন। দণ্ডবিধি ৪০৯ ধারায় প্রত্যেককে ৩ বছর এবং ৫(২) ধারায় ৪ বছর করে শাস্তি দেন এবং প্রত্যেককে ১ লাখ ৯৬ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পরবর্তী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাসসহ মামলার অন্য দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শরফুল আলম লিটু, তৎকালীন কমিশনার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বাচ্চু, কমিশনার আহম্মদ আলী খান, কমিশনার রফিকুল ইসলাম ও কমিশনার মোহাম্মদ তেলায়েত হোসেন।
দুদকের মামলায় সাজা হওয়ায় মামলায় যুক্ত থাকা সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাসকে ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর এবং সাবেক পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর হোসেন বিশ্বাসকে ৬ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর হোসেন বিশ্বাস মারা যাওয়ায় মামলা থেকে অব্যাহতি পান।
যশোর জেলা জজ আদালতের পাবলিক পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, উচ্চ আদালতে করা লিভ টু আপিলে আসামিদের নিম্ন আদালতে হাজিরা দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। আদালত তাদের লিভ টু আপিল খারিজ করে সাজা বহাল রেখেছেন। এই মামলায় নিম্ন আদালতের জামিন দেওয়ার এখতিয়ার নেই, তারা পরবর্তী সময়ে উচ্চ আদালতে সাজার বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করতে পারবেন।