রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে টানাবৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলে কাঁচালং নদীর পানি বেড়ে বাঘাইছড়ি পৌরসভার ও ৮টি ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়েছে। এতে প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত উপজেলার ৫৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে দেড় হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তবে বন্যার পানি বাড়তে থাকায় উপজেলার নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে এবং এলাকাবাসী আশ্রয়কেন্দ্রমুখী হচ্ছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) থেকে বাঘাইছড়ি উপজেলার মাচালং নদীর পানি বাড়ায় উপজেলা নিন্মাঞ্চলগুলো প্লাবিত হতে শুরু করে। এতে উপজেলার সদর, বারোবিন্দু ঘাট, মাস্টার পাড়া, লাইন্যাঘোনা, এফ ব্লক, পশ্চিম মুসলিম ব্লক, রুপকারী, পুরাতন মারিশ্যা, খেদারমারা গ্রামসহ বাঘাইছড়ি ও ৮ টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় ইউনিয়নগুলোর পরিস্থিতি জানতে পারছেন না উপজেলা প্রশাসন।
জানা গেছে, দীঘিনালার কবাখালি সড়কের অংশ পানিতে ডুবে গিয়ে সাজেক ও বাঘাইছড়ির যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। অপরদিকে বাঘাইহাট বাজার এখনো পানির নিচে তলিয়ে থাকায় সাজেকে বেড়াতে গিয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো আটকা আছেন আড়াই শতাধিক পর্যটক।
বাঘাইছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার জানান, সাজেকে প্রায় আড়াই শতাধিক পর্যটক আটকা আছেন। বন্যা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। পানিবন্দি মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ভারি বৃষ্টিপাতে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় পুরো রাঙামাটি জেলায় মোট ২৬২টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, অতি ভারি বর্ষণের পূর্বাভাসে রাঙামাটিতেও পাহাড়ধসের আশঙ্কা রয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসাবসকারীদের ক্ষতি এড়াতে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে সরে যেতে শহর জুড়ে মাইকিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া জেলা ও উপজেলাসহ মোট ২৬২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।