যশোরে ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত পুলিশ কর্মকর্তা টাউন ইন্সপেক্টর (টিএসআই) রফিক ও তার স্ত্রী ঝরণা ইয়াসমিনের নামে স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও অস্থাবর সম্পত্তি ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের অনুসন্ধানের পর উপপরিচালক মোশারফ হোসেনের আবেদনের প্রেক্ষিতে সিনিয়র স্পেশাল জজ নাজমুল আলম এ আদেশ দিয়েছেন। টিএসআই রফিক বর্তমানে ফরিদপুর জেলা ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বুধবার (২১ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পিপি সিরাজুল ইসলাম।
তিনি জানান, দুদকের কাছে প্রথমে টিএসআই রফিকের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ আসে। একপর্যায়ে তার কাছে স্বামী-স্ত্রীর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব চাওয়া হয়। কিন্তু তার পাঠানো হিসাবে ব্যাপক অমিল পাওয়া যায়। একপর্যায়ে দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে তার বিপুল সম্পত্তির ফিরিস্তি।
দুদকের অনুসন্ধানে সারাদেশে রফিক দম্পতির সম্পত্তির মধ্যে গোপালগঞ্জ জেলায় সাততলা বিল্ডিং, যশোর শহরে একটি ছয়তলা বাড়ি, একটি দুইতলা মার্কেট, একটি দোতলা ভবন, ঢাকাতে ফ্ল্যাট, রাজশাহী শহরে বাড়ি, খুলনায় জমি ফ্ল্যাটসহ বিভিন্ন এলাকায় তার খামারসহ নানা ধরনের ব্যবসা তথ্য উঠে আসে।
অভিযোগ রয়েছে, তিনি যেখানেই চাকরি করেছেন সেখানেই গড়েছেন অঢেল সম্পত্তি। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি ছিলেন যশোরের এক অপ্রতিরোধ্য পুলিশ কর্মকর্তা। সাধারণ মানুষকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তিনি সম্পত্তি জবর দখল করেছেন। যশোর শহরের বড় বাজার, বেজপাড়া, আরএনরোড, মুড়লি মোড়, পুলেরহাট মোড়, পাগলাদহ গ্রামে রয়েছে এ দম্পত্তির বিপুল পরিমান সম্পত্তি।
এখানেই শেষ না তিনি জমির দলিলে দাম দেখিয়েছেন বাজার দাম থেকে অনেক কম। গোপালগঞ্জ জেলার শুকতাকল মৌজায় পাঁচ শতক জমির দাম দেখিয়েছেন মাত্র এক হাজার টাকা।
মন্তব্য করুন