ভারি বর্ষণে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ি জনপদে ধস নেমেছে। এতে ঝুঁকিতে রয়েছে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করা পরিবারগুলো। ইতোমধ্যে অনেকেই পাহাড় ধসের ভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
বেশ কয়কদিনের ভারি বৃষ্টিপাতে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় চকরিয়ার হারবাং এলাকার পাহাড়ি জনপদের ১৫টি বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত প্রাণহানি কোনো খবর পাওয়া যায়নি। বুধবার (২১ আগস্ট) বেলা ১১টায় চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের গাইনাকাট পাহাড়ি এলাকায় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে।
বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপির চেয়ারম্যান মিরাজ উদিন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম। উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
জানা যায়, বেশ কয়েকদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। বুধবার বেলা ১১টার দিকে হঠাৎ পাহাড়ধসে সুফি বেগম, রায়খান, সৈয়দ হোসন, নুরুল আলম, মো. রশিদ, ছৈয়দ বলীরসহ অন্তত ১৫টি বসতঘর ভেঙে গেছে। এতে তাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আলম ও মো. রশিদ জানান, পাহাড়ের পাদদেশ দিয়ে ট্রেনের রাস্তা রয়েছে। প্রতিদিন ট্রেন যাওয়া আসা করে। যাওয়ার সময়ে মাটি কাঁপতে থাকে, অভিযোগ উঠেছে পাহাড় কেটে ট্রেনের রাস্তা করায় এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে তমা নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প ইঞ্জিনিয়ার রাশেদুজ্জান বলেন, ২শ ফুট পাহাড়ের ওপর থেকে মাটি ধসে রেললাইনের ওপর ধসে পড়ে। প্রাকৃতির দুর্যোগের ওপর আমাদের কোনো হাত নেই।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, হারবাং এর বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক পরিবার পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছেন। অবিরাম বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে প্রাণহানিসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
সচেতন মহলের অভিযোগ, কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় হারবাং এলাকায় দক্ষিণ চট্টগ্রাম বন বিভাগের আওতাধীন চুনতি ফরেস্ট রেঞ্জের অধিনে অজিজনগর বিটে হাজার হাজার এককর বনভূমি রয়েছে। স্থানীয় কিছু লোক অবৈধভাবে সরকারি বনভূমিতে বেআইনিভাবে বাড়িঘর তৈরি করেছে। ইতোমধ্যে গাইনাকাটা পাহাড়ি এলাকায় অবৈধভাবে বেশকিছু বসতবাড়ি রয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, মাটি ধসে বেশকিছু বাড়ি ভেঙেছে।
মন্তব্য করুন