বন্দরনগরী চট্টগ্রামে টানা অতি বর্ষণে সৃষ্টি হয়েছে পাহাড় ধসের ঝুঁকি। রয়েছে জলাবদ্ধতারও আশঙ্কা। বিভিন্ন উপজেলায় দেখা দিয়েছে বন্যা। দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের চিকিৎসাসেবা স্বাভাবিক রাখতে জেলার প্রত্যেকটি উপজেলা, ইউনিয়নের চিকিৎসকদের দেওয়া হয়েছে নির্দেশনা। মাঠে রয়েছে প্রায় ২৯০টি টিম। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুমও।
বুধবার (২১ আগস্ট) রাতে জরুরি এই নির্দেশনা দেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, অতি বর্ষণের কারণে মহানগরসহ উপজেলাসমূহের বিস্তীর্ণ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধসহ জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। তাই চট্টগ্রাম জেলার ২০০ ইউনিয়নের প্রত্যেকটিতে একটি করে মোট ২০০, এ ছাড়া ১৫ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রত্যেকটিতে ৫টি করে মোট ৭৫টি, ৯টি আরবান ডিসপেন্সারির প্রত্যেকটিতে একটি করে মোট ৯টি, একটি স্কুল হেলথ ক্লিনিকে একটি ও জেলা সদর হাসপাতালে (চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল) ৫টি মেডিকেল টিমসহ সর্বমোট ২৯০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।
দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য বাফার স্টক (ওষুধ, স্যালাইন, খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ইত্যাদি) মজুত রাখার অনুরোধ জানান তিনি।
ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী আরও বলেন, সম্ভাব্য যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। ইউএইচএন্ডএফপিওসহ সব চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাধ্যতামূলক কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে প্রশাসনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে। সাপে কাটা রোগীর জন্য অ্যান্টিভেনম মজুত ও অতি বৃষ্টির কারণে যেন জনগণের চিকিৎসাসেবা ব্যাহত না হয় সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। দুর্যোগপরবর্তী স্বাস্থ্য শিক্ষা কার্যক্রম জোরদারকরণের উদ্যোগ গ্রহণসহ বৃষ্টির পানিতে সরকারি মালামাল যাতে নষ্ট না হয় সে ক্ষেত্রে যাবতীয় প্রস্তুতি নিতে হবে। যে কোনো বিষয়ে অবগত/পরামর্শের জন্য জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুমের নম্বর-০২৩৩৩৩৫৪৮৪৩ সার্বক্ষণিক চালু থাকবে।