সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি ইউনিয়নের বগাইয়া হাওর ছরারপার খালের ওপর হেলে পড়া খুঁটি ভেঙে যাওয়া সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে দশ গ্রামের মানুষ। গ্রামের মানুষের ভাগ্য আটকে আছে ৪টি খুঁটিহীন একটি সেতুতে।
হেলে পড়া ও ভেঙে যাওয়া ৪টি খুঁটিহীন এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন যাতায়াত করে থাকে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় পথচারীদের।
এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি, ছরারপার খালের ওপর সেতুটি পুনর্নির্মাণ করা। এ জন্য তারা সরকারের বিভিন্ন মহলে চেষ্টা-তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, জরাজীর্ণ ৪টি খুঁটির ওপর বিপজ্জনকভাবে দাঁড়িয়ে আছে সেতুটি। সেতুটি তুলনামূলক সরু হওয়ায় যানবাহন চলাচল করতে হয় এক লাইনে, যে কারণে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা পার হতে গেলেই ওপর পাশে আকেটিকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
পাশাপাশি সেতুর উভয় পাশে রেলিং না থাকায় দুর্ঘটনা যেন নিত্যসঙ্গী। এ অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপারে বাধ্য হচ্ছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া খালের দুই পাড়ে গড়ে উঠেছে স্কুল, মাদ্রাসা, কিন্ডারগার্টেন, মাদ্রাসাসহ চার-পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
প্রায় ৩১ বছর আগে এনজিও সংস্থা কনসার্ন ও এলাকাবাসীর আর্থিক সহায়তায় ৭০ ফুট দৈর্ঘ্যের এ সেতুটি তৈরি হয়েছে। স্থানীয় কুপারবাজার থেকে সেতুটি পর্যন্ত এবং সেতু থেকে বগাইয়া দক্ষিণপাড়া ঝারিখালকান্দি পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার রাস্তা এলজিইডি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় গর্ত হয়ে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য জাকির হোসেন কালবেলাকে বলেন, বগাইয়া হাওর ছরারপার সেতুটি খুব ঝুঁকিপূর্ণ। বর্তমানে উপজেলার সেতুর তালিকায় এটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আছে। সিলেট-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইমরান আহমদ এমপির বলেছিলেন, এ সেতুটি জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা হবে।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. রফিকুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, বগাইয়া হাওর ছরারপার নামক স্থানে সেতু নির্মাণ সময়ের দাবি। অনেক আগেই এটির গুরুত্ব বিবেচনা করে ওপরমহলকে অবহিত করা হয়েছে। নতুন প্রকল্প অনুমোদন হলে সেতুটি নির্মিত হবে।
মন্তব্য করুন