বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডাক্তার শফিকুর রহমান বলেছেন, এবারের আন্দোলন বাংলার ১৮ কোটি মজলুম গণমানুষের আন্দোলন। একটি পরিবারের কাছে গোটা দেশের মানুষ অসহায় ছিল। তারা নিজেদের বাংলার মালিক এবং আমাদের গোলাম ও বাদী মনে করত। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ‘মা’ দাসী হয়ে বাঁচতে চায় না বলে রাস্তায় প্রতিবাদ করতে বের হয়েছিল।
বুধবার (২১ আগস্ট) কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের পশ্চিম গজালিয়ার শহীদ নুরুল মোস্তফার পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর বলেন, ছাত্র-যুবসমাজের নেতৃত্বে বাংলাদেশে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। দেশের মাটিতে তারা দুই পা রাখারও সুযোগ পায়নি। অথচ তারা গাল ফুলিয়ে বলতো এদেশ আমার এবং আমার বাপের। সুতরাং এদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার কোন প্রশ্নই ওঠে না।
জানা যায়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ পরবর্তী সাধারণ জনতার সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলি হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনা স্থলে প্রাণ হারায় এ শিক্ষার্থী। তিনি স্থানীয় দারুস সালাম একাডেমির দশম শ্রেণির ছাত্র এবং পশ্চিম গজলিয়ার শফি উল্লাহর ছেলে। জামায়াত আমির আজ নুরুল মোস্তফার বাবাকে নগদ এক লাখ টাকা অর্থ সহায়তা দিয়েছেন। এ ছাড়া গত ১৬ অগাস্ট জামায়াতের কেন্দ্রীয় এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান দলের পক্ষ থেকে ওই পরিবারকে নগদ এক লাখ টাকা প্রদান করেছিলেন। উপজেলা জামায়াতের পক্ষ থেকেও এ পরিবারকে নগদ অর্থ সহযোগিতা করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, জেলা আমির অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী চেয়ারম্যান, নায়েবে আমির মুফতি মাওলানা হাবিব উল্লাহ, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জাহেদুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি শামসুল আলম বাহাদুর, সেক্রেটারি মাওলানা মো. মহসিন, জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট ছলিম উল্লাহ বাহাদুর, উপজেলা জামায়াত আমির মাওলানা ছলিম উল্লাহ জেহাদী, নায়েবে আমির মাওলানা ছৈয়দ নুর হেলালি, সেক্রেটারি মাওলানা নুরুল আজিম, সাংগঠনিক সেক্রেটারি মাস্টার ছৈয়দুল আলম হেলালি, জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য ও ইসলামপুর চেয়ারম্যান মাওলানা দেলোয়ার হোছাইন, ইসলামপুর সভাপতি শাহাব উদ্দিন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন