বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশে গুলি ছুড়ে গাজীপুরের টঙ্গীতে নয়ন হোসেন (১৮) নামে এক যুবককে গুরুতর আহত করার অভিযোগে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও টঙ্গীর সাবেক পৌর মেয়র আজমত উল্লাহ খানে এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী রাসেলের চাচা মতিউর রহমান মতিসহ ১৭৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ভুক্তভোগীর বাবা জাকির হোসেন বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন- গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টঙ্গী পৌরসভার সাবেক মেয়র আজমত উল্লাহ খান (৬৫), জাহিদ আহসান রাসেল এমপির চাচা ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মতিউর রহমান মতি (৬০), তার ভাই নুরুল ইসলাম (৫৫), টঙ্গী দলিল লেখক সমিতির সভাপতি কামরুজ্জামান টুটুল (৪৪), গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মশিউর রহমার সরকার বাবু (৪০), গাজীপুর মহানগর মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি আসাদুল কবির (৫৫), মহানগর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক জাকির হাসান খোকন (৫৫), গাজীপুর মহানগর মোটর শ্রমিক লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ওরফে লিটন মহাজন (৪৫), মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক সদস্য কাইয়ুম সরকার (৪৫), মহানগর তাঁতি লীগের সভাপতি শাহ আলম (৪৮), গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর বিল্লাল হোসেন মোল্লা (৪০), আমির হামজা (৩৩), আমজাদ হোসেন (৪৫), নুরুল ইসলাম নুরু (৪৫), গিয়াস উদ্দিন সরকার (৫৫), মাজহারুল ইসলাম দিপু (৪৫), হেলাল উদ্দিন (৬০), সাবেক কাউন্সিলর সেলিম মিয়া (৫০), ইসমাইল হোসেন বাবু (৬০), আওয়ামী লীগ নেতা মাসুম বিল্লাহ বিপ্লব (৪০), আলী আফজাল খান দুলু (৬০), কামরুজ্জামান জামান (৪৮), খালেদ সাইফুল্লা সেলিম (৪৩), ফয়েজ আহম্মেদ মিন্টু (৪৫). আজাহার উদ্দিন ব্যাপারী (৫০), আব্দুস কুদ্দুস পাঠান (৫৮), মতিউর রহমান ওরফে বি.কম মতি (৬৫), কুদ্দুস নেতা (৬০), যুবলীগ নেতা জলিল গাজী (৫৫), ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল হোসেন জয় (৩৫), রেজাউল করিম (৩৫), হুমায়ুন কবির বাপ্পি (৩০), কাজী মঞ্জুর (৩৫), দ্বীন মোহাম্মদ নীরব (৩২), শাহজাদা সেলিম লিটন (৪০), স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. বিল্লাল হোসেন (৪৫), মামুনুর রশিদ মোল্লা (৪০), সাইদুল হক প্রধান লিটন (৪৫), সজল সরকার (২৮), সাইদুল মৃধা (৪০), নুর মোহাম্মদ মামুন (৪৮), মোটর শ্রমিকলীগ নেতা ওমর ফারুক (৬০)
টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি রাফিউল করিম রাফি মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২০ জুলাই দুপুর সাড়ে ১২টায় বাদীর ছেলে নয়ন কলেজ গেট এলাকায় কোটাবিরোধী আন্দলনে যায়। এ সময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা হাতে বন্দুক, শটগান, পিস্তল, চাপাতি, ছুরি ও বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়। এতে নয়ন ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় এশিয়ান হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং পা থেকে গুলি বের করে। বর্তমানে নয়নের পা কেটে ফেলার উপক্রম।
মন্তব্য করুন