বগুড়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ১৪০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১৫০/২০০ জনকে। এ নিয়ে বগুড়ায় শেখ হাসিনার নামে মোট তিনটি মামলা করা হলো।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিবগঞ্জ উপজেলার সমন্বয়ক শাহীনুর ইসলাম আলামিন বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিবগঞ্জ আমলি আদালতে মামলার আবেদন করেন। পরে আদালত শুনানি শেষে শিবগঞ্জ থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ প্রদান করেন আদালত।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল ওহাব কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- বগুড়া-২ আসনের সাবেক এমপি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, তার ছেলে হুসাইন শরিফ সঞ্চয়, শ্যালক শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ রিজু, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ বিপুল, রেজ্জাকুল ইসলাম রাজু, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম দুদু, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এসএম রুপম।
মাঝিহট্টের ইউপি চেয়ারম্যান এসকেন্দার আলী, বিহারের ইউপি চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম, বুড়িগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চঞ্চল, কিচকের ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান চৌধুরী, দেউলীর ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম, মোকামতলার ইউপি চেয়ারম্যান আহসান হাবীব সবুজ।
পিরবের ইউপি চেয়ারম্যান আসিফ মাহমুদ মিল্টন, আটমুলের ইউপি চেয়ারম্যান মো. বেলাল হোসেন, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি লুৎফর রহমান, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এরফান আলীসহ আরও অনেকে।
অ্যাডভোকেট আব্দুল ওহাব বলেন, গত ১৯ জুলাই বিকালে শিবগঞ্জ পৌর এলাকায় সোনালী ব্যাংক চত্বরে শেখ হাসিনা এবং ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে আসামিরা ছাত্র-জনতার মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ এবং গুলি চালিয়ে নির্বিচারে হামলা চালায়। এ হামলায় আন্দোলনে অংশ নেওয়া অনেকেই আহত হন। এদের মধ্যে উপজেলার কানুপুর গ্রামের নাজমুল ইসলামের বাম হাতে ও উরুতে গুলি লাগে। সে এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শিবগঞ্জ উপজেলার সমন্বয়ক আলামিন বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিবগঞ্জ আমলি আদালতে মামলার জন্য আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে বিচারক এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য শিবগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন। শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরকে নির্দেশদাতা উল্লেখ করে ১৪০ জনের নামে মামলা করা হয়।
শিবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রউফ কালবেলাকে বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো কাগজ হাতে পাইনি। কাগজ হাতে পেলে আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন