বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সাবেক এমপি মঈন উদ্দিন মঈনসহ আওয়ামী লীগের ১৩৫ জন নেতাকর্মীকে আসামি করে আশুগঞ্জ থানায় দুটি পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) উপজেলার আড়াইসীধা গ্রামের নাসির মিয়ার ছেলে মো. রমজান মিয়া ও মইশার গ্রামের মফিজ মিয়ার ছেলে হাসান মিয়া বাদী হয়ে এসব মামলা দায়ের করেন। তারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় সদস্য বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
মামলায় সাবেক এমপি ছাড়াও উপজেলা আ.লীগের সভাপতি হাজি মো. সফিউল্লাহ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের, ৫ জন ইউপি চেয়ারম্যানসহ আ.লীগের উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন শাখার নেতাদের আসামি করা হয়েছে।
পৃথক দুটি মামলার অভিযোগে প্রায় অভিন্ন ভাষায় বলা হয়, গত ৪ আগস্ট ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোল চত্বর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ মিছিলে অভিযুক্তরা সংঘব্ধভাবে হামলা করে। এ সময় তারা বেশকয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণসহ ছাত্র-জনতার মিছিলে অতর্কিতভাবে গুলি ছোড়ে। এতে ককটেলের স্প্লিন্টার ও গুলিতে কয়েকজন আন্দোলনকারী মারাত্মক আহত হয়। এ ছাড়া আক্রমণকারীরা লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে অনেক আন্দোলনকারীকে আহত করে। এ সময় আক্রমণকারীরা অন্তত বিশটি মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেওয়াসহ নানা ধরনের নাশকতা করে বলে মামলা দুটিতে উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে মামলা দুটির বাদী মো. রমজান মিয়া ও হাসান মিয়া জানান, ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে অতর্কিত হামলা করে আ.লীগ সেদিন তাদের ফ্যাসিবাদী চরিত্র পূর্ণভাবে প্রকাশ করেছে। আমরা ভিক্টিম এবং সংক্ষুব্ধ। তাই নৈরাজ্যকারীদের বিচারের জন্য মামলা করেছি।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ওসি মো. সফিউল কবির জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়ে পৃথক দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত করে আসামিদের গ্রেপ্তার ও পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন