মাত্র ১৫ দিনের মাথায় টানা ভারি বর্ষণে আবারও খাগড়াছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবার। খাগড়াছড়ির সদরের পাশাপাশি এবার পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে মাটিরাঙ্গার তাইন্দংয়েরর বাজারপাড়া, ডিপিপাড়ায় ও বাজার পাড়া। এতে গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে অধিবাসীরা। প্রায় সপ্তাহ ধরে টানা ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারও পানিবন্দি হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ভোর থেকে খাগড়াছড়ি সদরের মুসলিমপাড়া, মেহেদীবাগ, কালাডেবা, গঞ্জপাড়া, ঠাকুরছড়াসহ চেঙ্গী ও মাইনি নদীর পাড়ের নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। এ নিয়ে গেল দুই মাসের ব্যবধানে তিনবার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন শহরতলী ও পৌর এলাকার নদী ও ছড়ার পাড়ে বসবাসকারী লোকজন।
ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকায় দিঘিনালার মাইনি নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দিঘিনালার মেরুং ও কবাখালীর নদী পাড়ের কৃষি জমিতে পানি ওঠতে শুরু করেছে। চেঙ্গী-মাইনি নদী ও ছড়ার পাড়ে বসবাসকারী লোকজন আতঙ্কে দিন পাড় করছে। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় পাহাড়ধসের ঝুঁকি রয়েছে।
এছাড়াও সদরের পাশাপাশি পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে মাটিরাঙ্গার তাইন্দং ও তবলছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন তাইন্দংয়ের মাঝপাড়া, বাজার পাড়া ও আচালং ডিপি পাড়ার অধিবাসীরা। ফেনী নদী ও ছড়ার পাড়ে বসবাসকারী লোকজন আতঙ্কে দিন পাড় করছে। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় পাহাড় ধসের ঝুঁকিও বেড়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় বাসিন্দা মো. আমির হোসেন বলেন, টানা বর্ষণ, পাহাড়ি ঢল ও ফেনী নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে তাইন্দংয়ের তিন গ্রাম। এতে ডানাবর্তী হয়ে পড়েছে তাইন্দংয়ের কয়েকশ পরিবার।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. ইশতিয়াক আহম্মেদ জানিয়েছেন, পানিবন্দি লোকদের উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্রে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং সতর্ক করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যে খাগড়াছড়ির পানিবন্দি লোকজন এলাকার আশপাশে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।
মন্তব্য করুন