বৈষম্যবিরোধ ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিতে গিয়ে নিহত হন জয়পুরহাটের ব্যাটারিচালিত অটোচালক মেহেদী (২৯)। এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেতুমস্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, স্থানীয় ২ এমপিসহ ২১৭ জনসহ অজ্ঞাত আরও ৩৫০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেন জয়পুরহাট পৌর এলাকার শেখপাড়া মহল্লার বাসিন্দা নিহত মেহেদীর স্ত্রী জেসমিন আক্তার সৃষ্টি (২৮)।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে জয়পুরহাট চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক মো. আতিকুর রহমানের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালতের বিচারক মামলা এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীর আইনজীবী আব্দুল মোমিন ফকির বলেন, বিচার মামলাটি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নথিভুক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, হাসান মাহমুদ, স্থানীয় সাবেক ২ এমপিসহ ২১৭ জনসহ অজ্ঞাত আরও ৩৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন নিহতের স্ত্রী।
মামলা অভিযোগ করা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচিতে যোগ দিতে যায় মেহেদী। ওই দিন বিকেল ৩টার দিকে ৭-৮ হাজার উত্তেজিত জনতা থানার বাইরে অবস্থান নিয়ে আ.লীগ বিরোধী স্লোগান দিতে থাকে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি দল থানা চত্বরে গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করে। এ সময় উত্তেজিত জনতা থানার প্রাচীর ভেঙে থানার ভেতরে প্রবেশ করলে থানার পূর্ব দিকে অবস্থানরত আ.লীগ নেতাকর্মীরা তখন ককটেল, পেট্রোলবোমা নিপেক্ষ করে এবংমুহুর্মুহু গুলি ছুড়লে থানার বাইরে পাকা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা মামলার বাদীর স্বামী মেহেদী গুলিবিদ্ধ হন। আহত মেহেদীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়ার পথে মেহেদী মারা যান। থানায় থাকা আ.লীগের নেতাকর্মীরা থানার মোটসাইকেল গ্যারেজে, থানা ভবন ও গোলভবনে অগ্নিসংযোগ করে। এমন তথ্য উল্লেখ করে মামলাটি করা হয়েছে।
জয়পুরহাটে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক ২টি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। গত রোববার নিহত নিহত শিক্ষার্থী নজিবুল সরকার ওরফে বিশালের বাবা মজিবুল সরকার। আর মঙ্গলবার মামলা করেন নিহত মেহেদীর স্ত্রী সুইটি।
মন্তব্য করুন