নরসিংদীতে ব্ল্যাকমেইল ও প্রতারণার অভিযোগে মুন্নি খাঁন (২৭) নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে নরসিংদী সদর থানা পুলিশ।
মুন্নির সদ্য সাবেক স্বামী বেলাব উপজেলার চরআমলাব গ্রামের কাজল মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান (৩০) বাদী হয়ে নরসিংদী মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
সে মামলার প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাতে নরসিংদী শহরের সাটিরপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মুন্নি রায়পুরা উপজেলার চরআড়ালিয়া এলাকার মো. দানিস মিয়ার মেয়ে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মেহেদী হাসানের দ্বিতীয় স্ত্রী মুন্নি। গত ৭ জুলাই মুন্নি স্বেচ্ছায় মেহেদীকে তালাক দেন। তার আগেই মেহেদীর মোবাইলে থাকা তার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ভিডিও সংরক্ষণ করে রাখেন মুন্নি। ছাড়াছাড়ির পর মুন্নি খান ওই সব ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে মেহেদীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। এতে গত ১২ আগস্ট রাতে নরসিংদী শহরের বাসাইল এলাকায় একটি চক্ষু হাসপাতালের সামনে ৭৫ হাজার টাকা নগদ প্রদান করেন মেহেদী। পুনরায় অর্থ দাবি করলে নরসিংদী মডেল থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মুন্নিকে আসামি করে একটি মামলা করেন মেহেদী।
এ বিষয়ে মেহেদী বলেন, মুন্নি আমার দ্বিতীয় স্ত্রী হলেও আমি তার অষ্টম স্বামী। এর আগে সে সাতজনকে বিয়ে করে নিজেই ডিভোর্স দিয়ে কাবিনের টাকা আদায় ও বিভিন্ন ভিডিও ধারণ করে। পরে তা দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় করে। আমার ক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছে, বিধায় মামলা করতে বাধ্য হয়েছি। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ওসি তানভীর আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন