দশ বছর আগে সাতক্ষীরা শহর শিবিরের সেক্রেটারিকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, তৎকালীন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কাজী মনিরুজ্জামান, সাতক্ষীরা সদর থানার সাবেক ওসি মো. ইনামুল হকসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রঘুনাথপুর গ্রামের মফিজউদ্দিন সরদারের ছেলে মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে সোমবার (১৯ আগস্ট) জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন।
জানা যায়, আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বড়াল মামলাটি তদন্ত সপেক্ষে এজাহার হিসেবে নেওয়ার জন্য সাতক্ষীরা সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল সাতক্ষীরা শহরের কামালনগরের একটি ছাত্রাবাসে আমিনুর রহমানকে হত্যাসহ আরও ৭ জনকে গুলি করার অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
নিহত কলেজ ছাত্র আমিনুর রহমান সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিন রঘুনাথপুর গ্রামের মফেজ সরদারের ছেলে। তিনি সাতক্ষীরা শহর ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি ছিলেন।
মামলার আসামিরা হলেন সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সাবেক পুলিশ সুপার ও তৎকালীন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কাজী মনিরুজ্জামান, সদর থানার সাবেক ওসি মো. ইনামুল হক, এসআই যথাক্রমে আবুল কাশেম, হুমায়ুন কবীর, আব্দুল হান্নান, হান্নান শরীফ, আবুজার গিফারী, বিধান কুমার বিশ্বাস, ইয়াছিন আলী ও এএসআই লিটন বিশ্বাস এবং কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলম, বেলায়েত হোসেন, জিল্লুর রহমান, বাবুল হোসেন, ফারুখ হোসেন, শেখ আলম, হাবিবুর রহমান, রাসেল মাহমুদ, ওমর ফারুক, আব্দুর রহমান, আবিদুর রহমান, আসাদুজ্জামান, মো. আলী হোসেন ও বদরুল আলম। এ ছাড়া আ.লীগ নেতা মো. আনারুল ইসলাম রনি, মো. বাবর আলী ও যুবলীগ নেতা এস.এম ইউসুফ সুলতানকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ভিকটিম আমিনুর রহমান লেখাপড়া করার জন্য সাতক্ষীরা শহরের কামালনগর সরকারি কবরস্থানের উত্তর পাশে মুকুলের ছাত্রাবাসের একটি রুমে ভাড়া থাকতো। তার সঙ্গে ওই ছাত্রাবাসে আবু তালেব, আক্তার হোসেন, আজিজুল ইসলাম, অব্দুস সবুর, আব্দুল গফুর, নুর মোহাম্মাদ ও ইমরান হোসেন নামের আরও সাতজন ছাত্র ছিল। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল দুপুরে ছাত্রাবাসে প্রবেশ করে এসআই আবুল কাশেম হত্যার উদ্দেশ্যে তার হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে ভিকটিম আমিনুর রহমানকে পিঠে গুলি করে। এতে তিনি মেঝেতে পড়ে গেলে পায়েও গুলি করা হয়। একপর্যায়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আমিনুর মারা যান। এসব ঘটনা মামলার সাক্ষীরা প্রত্যক্ষ করেছেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. এ.টি.এম বাসারুতুল্লাহ আওরঙ্গী বাবলা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই সময়কার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা সম্ভব হয়নি।
মন্তব্য করুন