দিনাজপুরে সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম ও তার বড় ভাই হাইকোর্টের আপিল বিভাগের অবসর প্রাপ্ত বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিমের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। এ ছাড়াও এ হত্যা মামলায় জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ আ.লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ২০ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সোমাবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে শহরের উপশহর ৭নং ব্লকের মৃত সাহার উদ্দিনের ছেলে মো. রুহান হোসেন (৪১) বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ওসি মো. ফরাদ হোসেন হোসেন।
এ হত্যা মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- জেলা যুবলীগের সভাপতি রাসেদ পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসন, কোতোয়ালি আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন, শহর আ.লীগের সহসভাপতি শেখ শাহ আলম, মো. আশরাফুল আলম রমজান, যুবলীগ নেতা সালেকিন রানা, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি আবু ইবনে রজব, যুবলীগ নেতা মো. মিথুন, মো. সুইট, সদর উপজেলার ৩নং ফাজিলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অভিজিৎ বসাক, জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা, উত্তর বালুবাড়ি এলাকার শ্রী শংকর, রামনগর এলাকার যুবলীগ নেতা মো. হারুন অর রশিদ রায়হান, ৪নং শেখপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মমিনুল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার, ৫নং শশরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোকছেদ আলী রানা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলাম ও ছাত্রলীগ নেতা মিথুনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪০০-৫০০ জন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনে সারা দেশের ন্যায় গত ৪ আগস্ট দিনাজপুরেও শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে আন্দোলন করছিল। ওই দিন দুপুর সাড়ে ১২টার সময় আন্দোলনকারীরা হাসপাতাল মোড় থেকে বাংলা স্কুল মোড় হয়ে জিলা স্কুলের সামনের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম ও তার বড় ভাই হাই কোটের আপিল বিভাগের অবসর প্রাপ্ত বিচারপতি এনায়েতুর রহিমের উসকানিতে আ.লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছা সেবক লীগ ও শ্রমিক লীগ দু-নলা বন্দুক, একনলা বন্দুক, বিস্ফোরক দ্রব্য, পিস্তল, রিভলভার, হাঁসুয়া, সামুরাই রোহার রড, চাইনিজ কুড়াল, পশু কুড়াল, লাঠি সোটাসহ আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি ও হামলা চালায়। এতে সদর উপজেলার ৩নং ফাজিলপুর ইউনিয়নের বিদুরসাহি গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে রাহুলসহ ৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় পুলিশ বিজিবি টিয়ার সেল, গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। পরে তাদের উদ্ধার করে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হলে। গত ৯ আগস্ট সন্ধ্যায় রাহুল মারা যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার বাদী মো. রুহান হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
কোতোয়ালি থানার ওসি মো. ফরাদ হোসেন হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কালবেলাকে বলেন, আসামিরা পলাতক রয়েছে।
মন্তব্য করুন