চুয়াডাঙ্গা ভি জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মাহফুজ আলম সজিবকে (১৫) অপহরণ করে হত্যার দায়ে আসামি মামুনকে (৩০) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়াও তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মামুন জেলার দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত দায়রা জজ (২) আদালতের বিচারক মাসুদ আলী এ রায় প্রদান করেন। এ মামলার ৩ আসামি র্যাবের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে মারা যান।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৯ জুলাই দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মাহফুজ আলম সজিবকে আসামি মো. মামুনসহ চারজন অপরহরণ করে। পরে তার পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। সেই টাকা না দিয়ে পরিবারের লোকজন বিষয়টি পুলিশ ও র্যাবকে বিষয়টি জানায়। পরে অপরহণ ঘটনার দুদিন পর মাহফুজের লাশ চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সিএন্ডবি পাড়ার একটি বাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করে র্যাব।
এ ঘটনায় নিহত সজিবের মামা মো. আব্দুল হালিম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মামুনসহ চারজনকে আসামি করা হয়। পরে মামলার তিনজন আসামি ক্রসফায়ারে নিহত হন।
জানা যায়, মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই আব্দুল খালেক তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি থানায় চার্জশিট প্রদান করেন। আসামি মো. মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শরীফ উদ্দিন হাসু বলেন, মামলায় মোট ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
মন্তব্য করুন