মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে শিল্পী আক্তার নামের এক গৃহবধূর সঙ্গে পরকীয়ায় ধরা পড়ে প্রেমিকাকে বাড়িতে রেখে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক বিকাশ চন্দ্র হালদার। উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নের বাল্লা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রেমিক বিকাশ চন্দ্র হালদার একই গ্রামের বলাই চন্দ্র হালদারের ছেলে। ওই গৃহবধূর ১৮ বছরের ছেলে ও ৯ বছরের একজন মেয়ে আছে। অভিযুক্ত বিকাশ হালদার বাল্লা ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকাশ হালদারের বাড়িতে গেলে ওই গৃহবধূকে তার বাড়িতে পাওয়া যায়। গৃহবধূ শিল্পী আক্তার কালবেলাকে বলেন, তিন বছর আমাদের সম্পর্ক। আমাকে বিয়ে করবে বলে বাড়ি থেকে নিয়ে এসে এখন সে তিন দিন পলাতক রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই তাদের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে একাধিকবার উভয়কে শাসন করে মীমাংসা করা হয়। এরপরও চলতে থাকে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। এরপর শুক্রবার তারা আবার ঘুরতে বের হলে সন্দেহজনকভাবে উপজেলার ঝিটকা এলাকার লোকজন তাদের আটক করলে রাতেই স্থানীয় লোকজন গিয়ে এলাকায় নিয়ে আসে এবং প্রেমিকের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরেরদিন প্রেমিক বিকাশ হালদার বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
বাল্লা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রওশন আলী বলেন, আমরা তাদের সংশোধনের জন্য কয়েকবার বিচার করেছি। ঠিক হয়নি। এখানে সমস্যা হলো একজন হিন্দ আরেকজন মুসলমান। তাই আইনি জটিলতায় আমরা বিয়ে দিতে পারিনি। এখন তিন দিন যাবত মহিলাকে বাড়ি রেখে ওই ছেলেই উধাও হয়ে গেছে।
বিকাশ হালদারের বাবা বলাই হালদার বলেন, ওই দিন রাতে এলাকার মাতব্বররা এই মেয়েকে বাড়িতে দিয়ে গেছে। আমার ছেলে বলল এখানেই থাক। তারপর দুদিন পর কিছু লোক এসে মেয়েটার সঙ্গে কথা বলে আমার ছেলেকে নিয়ে গেছে। সে আর বাড়ি আসেনি। কই আছে আমরা জানি না।
শিল্পী বেগমের স্বামী মো. হারেজ আলী বলেন, আমি এ সম্পর্কের কথা দেড় বছর যাবত শুনেছি। তাদের সংশোধনের অনেক চেষ্টা করেছি। এরপরেই শুক্রবার সে চলে যায়। এ বিষয়ে আমি থানায় অভিযোগ করেছি।
হরিরামপুর থানার ওসি শাহ নূর এ আলম কালবেলাকে বলেন, গৃহবধূর স্বামীর একটা অভিযোগ পেয়েছি। তবে দুজনই প্রাপ্তবয়স্ক। আইনের বাইরে তো আমরা কিছু করতে পারব না। আমি ওই গৃহবধূর স্বামীকে ডেকেছি। তার সঙ্গে কথা বলে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।