নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আন্দোলনে মাছ ব্যবসায়ী মিলন হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমানসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হলো।
রোববার (১৮ আগস্ট) রাত ১২টার দিকে নিহতের স্ত্রী শাহনাজ বেগম সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এ হত্যা মামলা করেন।
নিহত মো. মিলন (৪৫) পটুয়াখালী জেলার দুমকী থানার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ঝাটকা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় মাছের ব্যবসা করতেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমিরী ওসমান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি মতিউর রহমান মতি, ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল, ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর উদ্দিন মিয়া, ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা।
১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী ইফতেখার আলম খোকন, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, আওয়ামী লীগ নেতা জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ নিজাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়াসহ ৬২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও অনেকজনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়।
মামলার এজাহারে বাদী শাহনাজ বেগম উল্লেখ করেন, গত ২১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে পণ্ড করতে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের সমর্থিত নেতাকর্মীরা একজোট হয়ে আগ্নেয়াস্ত্র, পিস্তল, শটগান, ককটেল, লাঠি নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে এবং জনমনে আতঙ্ক তৈরি করেন।
আসামি শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের ও আসাদুজ্জামান খান ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ও আক্রমণ করার নির্দেশ দেন। আসামিরা রাস্তায় অবস্থানরত ছাত্র-জনতার ওপর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভীতির সৃষ্টি করে। তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ও মারধর করেন। তখন মিলন মাছের আড়ত থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুপুর ১২টার দিকে বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করে সাইনবোর্ড এলাকায় অবস্থিত প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন