জীবিকার তাগিদে ঢাকায় গিয়ে এক সময় গার্মেন্টস শ্রমিক হিসেবে চাকরি করেছিলেন মো. মামুন মিয়া। পরে কঠোর পরিশ্রম আর সাধনায় কয়েক বছর আগে ঢাকার মিরপুরে ক্ষুদ্র পরিসরে শুরু করেন গার্মেন্টস ব্যবসা। ব্যবসার মাধ্যমে জীবনটা সবেমাত্র গোছাতে শুরু করেছিলেন তিনি। করেছিলেন বিয়ে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে যোগ দিয়ে পুলিশের গুলিতে মারা যান তিনি।
মামুন মিয়ার বাড়ি রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের আদম বাড়াইপাড়া গ্রামে। আজগার আলী ও তাসলিমা বেগমের চার সন্তানের মধ্যে সবার বড় ছিলেন তিনি। তার এই মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না মামুনের মা-বাবা ও প্রতিবেশীরা।
মামুন মিয়ার বাবা-মা বলেন, গত ৫ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে তারা খবর পান ছেলের গুলি লেগেছে। পরে তাদের ছোট ছেলে হাসপাতালে গিয়ে দেখেন মামুন মারা গেছে। ছেলেকে হারিয়ে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তারা আরও বলেন, তাদের ছেলে মারা যায়নি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। তারা ছেলে হত্যার বিচার চান।
স্থানীয়রা বলেন, মামুন মিয়ার স্ত্রী সন্তানসম্ভবা ছিলেন। মামুনের মৃত্যুর ১৫ দিন আগে সন্তান ভূমিষ্ঠের আগেই মারা যায়। মামুনকে কবর দেওয়ার পর তার স্ত্রীকে পরিবারের লোকজন নিয়ে গেছেন। মামুনের অনেক স্বপ্ন ছিল পরিবার ঘিরে। কিন্তু মৃত্যুর মধ্য দিয়ে তার সব স্বপ্ন নস্যাৎ হয়ে গেছে।
স্থানীয় ছাওলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নাজির হোসেন কালবেলাকে বলেন, মামুন মিয়াকে শহীদের স্বীকৃতি ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটির পুনর্বাসন করা হোক।
মন্তব্য করুন