কক্সবাজারের রামুতে ৭০ হাজার পিস ইয়াবা নিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা মো. আমজাদ হোসাইন।
তিনি টেকনাফ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী উপপরিদর্শক।
শনিবার (১৭ আগস্ট) রাতে টেকনাফ থেকে ইয়াবার চালান নিয়ে কক্সবাজার যাওয়ার পথে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের রামুর মরিচ্যা বিজিবি চেকপোস্টে ধরা পড়েন তিনি। এ সময় তার পকেট থেকে ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। রোববার (১৮ আগস্ট) সকালে আমজাদ হোসাইনের বিরুদ্ধে রামু থানায় মামলা করা হয়েছে।
জানা যায়, টেকনাফে চাকরিরত থাকা অবস্থায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা কয়েকজন ইয়াবা ব্যবসায়ীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে বিপুল টাকা আয় করেছেন। মাঝেমধ্যে ইয়াবার চালান তিনি নিজে বহন করে গন্তব্যে পৌঁছে দিতেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন রামু ৩০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, শনিবার রাতে মরিচ্যা বিজিবি যৌথ চেকপোস্টের সদস্যরা টেকনাফ থেকে আসা ইম্পেরিয়াল পরিবহনের একটি বাস তল্লাশির সময় আমজাদকে সন্দেহ হয়। এরপর তাকে বাস থেকে নামিয়ে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে কথার গরমিল পাওয়া গেলে সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করা হয়। এ সময় ওই ব্যাগে ৭০ হাজার ইয়াবা ও নগদ ৫০ হাজার টাকা পাওয়া যায়।
রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান বলেন, বিজিবির কাছ থেকে এজাহার পেয়ে আমজাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আমজাদ টেকনাফ থেকে তার গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আমজাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সিরাজুল মোস্তফা জানান, ইয়াবাসহ আমজাদকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি তিনি অবগত হয়েছেন। ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন মহলকে জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন