গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৪, ১০:৩১ এএম
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২৪, ১১:১১ এএম
অনলাইন সংস্করণ

আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সেই ইমনের মৃত্যু

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢামেকের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইমন মারা গেছেন। ছবি : কালবেলা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢামেকের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইমন মারা গেছেন। ছবি : কালবেলা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে পেটে গুলিবিদ্ধ হন কলেজছাত্র মো. ইমন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কলেজছাত্র সেই ইমন মারা গেছেন।

রোববার (১৮ আগস্ট) সকালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

ইমন টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের নলিন এলাকার মৃত মো. জুলহাস শেখের ছেলে। তিনি স্থানীয় মনিরুজ্জামান খান বিএম কলেজ থেকে ২০২৩ সালে এইচএসসি পাস করেন।

এর আগে গত ৪ আগস্ট মির্জাপুরের গোরাই এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ছাত্র-জনতার। এ সময় পুলিশের একটি বুলেট ইমনের বুক দিয়ে ঢুকে পিঠ দিয়ে বের হয়ে যায়। আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে এবং পরে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসার জন্য ইমনকে মাইক্রোবাসে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে পুলিশ গাড়ি থামায়। পুলিশ যখন জানতে পারে রোগী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ, তখন তারা আহত ইমনকে গাড়ি থেকে জোর করে নামিয়ে পেটে লাথি মারে। পরে লাঠি দিয়ে বেদম পেটায়। শুধু ইমনকেই নয়, পুলিশ সদস্যরা গাড়ির চালকসহ সঙ্গীদেরও মারধর করে। পরে অনেক অনুনয়-বিনয় করে ছাড়া পান তারা।

পুলিশ ছেড়ে দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয় ইমনকে বহনকারী মাইক্রোবাসটি। তবে ভাগ্য ভালো ঠিক সময়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স পান তারা, রওনা হন ঢাকার পথে। তবে অ্যাম্বুলেন্সের চালক ঢাকা মেডিকেল কলেজে পর্যন্ত যেতে অস্বীকৃতি জানালে ইমনকে উত্তরার লেক ভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দুদিনেই খরচ হয় লাখ টাকা। অনেক কষ্টে সে টাকা জোগাড় করে তার পরিবার। এরপর ৬ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।

জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই সামনের সারিতে ছিলেন কলেজছাত্র ইমন আলী। ১০ বছর বয়সে বাবা হারানো চারজনের পরিবারে ইমনই ছিলেন একমাত্র কর্মক্ষম। ফলে ছেলের চিকিৎসার ব্যয় বহনে এরই মধ্যে সহায়সম্বল বিক্রি করেছেন মা রিনা বেগম। বাবার মৃত্যুর পর ইমনই হয়ে ওঠেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম। পড়ালেখার পাশাপাশি টিউশনি করে হাল ধরেন পরিবারের। ইমনের ছোট আরও দুই ভাই আর এক বোনের সংসারে মানুষের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন রিনা বেগম।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রধান উপদেষ্টার / সহকারী প্রেস সচিব হলেন দুই তরুণ সাংবাদিক

শিক্ষকদের দ্বন্দ্ব, শিক্ষাব্যবস্থায় অচলাবস্তা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে ধুম্রজাল

জাবিতে গণপিটুনির ঘটনায় ৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার

জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন তারেক রহমান

বিশেষ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিচার দাবি লায়ন ফারুকের

জাবিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা, এক সমন্বয়ককে অব্যাহতি

ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের

মাদারীপুরে কৃষককে পিটিয়ে হত্যায় মানববন্ধন

জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন গ্রিডের টাওয়ার পদ্মায় বিলীন

১০

দীঘিনালায় দুপক্ষের সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

১১

তিন মাস ধরে ১৪০০ চা শ্রমিকের মজুরি বন্ধ

১২

নীতিমালার খসড়া অনুমোদন / সম্পদের হিসাব দিতে হবে উপদেষ্টাদেরও

১৩

জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন গ্রিডের টাওয়ার পদ্মায় বিলীন

১৪

বিটকয়েনে বার্গারের দাম পরিশোধ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

১৫

ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৭

১৬

চর দখলের মতো সাংবাদিক সংগঠনগুলো নিয়ন্ত্রণের অপচেষ্টা চলছে : শওকত মাহমুদ

১৭

নেতাকর্মীদের জরুরি নির্দেশনা দিল আ.লীগ

১৮

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের নির্মাণসামগ্রী ও গবাদিপশু দিল বিএনপি

১৯

ছেলে নিহতের চার ঘণ্টা পর মারা গেলেন বাবা

২০
X