চট্টগ্রাম বন্দরে ১৫০ বছর আগে ডুবে যাওয়া একটি জাহাজ উদ্ধার করেছে ডুবুরি দল। দীর্ঘ আট মাসের প্রচেষ্টায় জাহাজটির এক তৃতীয়াংশ উদ্ধার করে দেশীয় প্রতিষ্ঠান হীরামন স্যালভেজ লিমিটেড। যেখানে পাওয়া গেছে বেশ কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক সামগ্রী।
শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রামের সল্ট গোলা ঘাট ও ডাঙ্গার চড় ঘাটের মাঝামাঝি কর্ণফুলী নদীর মোহনার প্রায় ৬০ ফিট গভীর থেকে জাহাজটি উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি খাইরুল আলম সুজন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উদ্ধার জাহাজ থেকে পুরোনো অনেকগুলো ধাতু পাওয়া গেছে। যেই জাহাজটি উদ্ধার করা হয়েছে তার ইঞ্জিন কয়লাচালিত। তাই ধারণা করা হচ্ছে, এ জাহাজটি কমপক্ষে ১৫০ বছরের পুরোনো হতে পারে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের মোহনায় এখনো অনেক জাহাজ রয়েছে। সেগুলোও উদ্ধার করা দরকার। যদি সব জাহাজ উদ্ধার করা যায় তাহলে কমবে দুর্ঘটনাও। নিরাপদে ব্যবসা করতে এ পরিবেশ সৃষ্টি করা অত্যন্ত জরুরি।
উদ্ধার কাজে জড়িত ডুবুরি আবুল কালাম বলেন, কর্ণফুলী নদীর এবিসি চ্যানেলে সর্বনিম্ন দেড়শ জাহাজ উদ্ধার করেছি আমি। এখনো অনেক জাহাজ থাকার আশঙ্কা রয়েছে। তবে সব জাহাজ উদ্ধার করা সম্ভব হলে ব্যবসায়ীদের আতঙ্ক কমবে, নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে।
জাহাজটি উদ্ধারের ফলে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ চলাচল নিরাপদসহ ড্রেজিং খরচ কমবে বলে আশা বন্দর কর্তৃপক্ষের। শত বছর আগের ডুবন্ত জাহাজ উদ্ধারে খুশি শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক কালবেলাকে বলেন, ডুবন্ত জাহাজ বা যন্ত্রাংশের কারণে সাধারণত জাহাজ পরিবহন ঝুঁকির মুখে পড়ে। ফলে এসব ড্রেজিং করতেও অনেক টাকা খরচ হয়। সব বিবেচনায় এ রেকগুলো উদ্ধার হয়ে গেলে এটি চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য আরও বেশি সুফল বয়ে আনবে। হীরামন স্যালভেজ লিমিটেডের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা ধারণা করছি ১৮৮২ সালে জাহাজটি ডুবেছিল। এটি একটি ব্রিটিশ জাহাজ। এই জাহাজ থেকে আমরা অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক সামগ্রী উদ্ধার করেছি। সবকিছুই ব্রিটিশ আমলের এবং বেশিরভাগ আসবাবপত্রে লন্ডনের লোগো দেওয়া।
মন্তব্য করুন