বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনার দেশত্যাগ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার ও ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা আত্মগোপনে রয়েছেন।
তারা আত্মগোপনে থাকায় কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন জনসাধারণ। যার কারণে সেবা না পেয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আবার অনেক জনপ্রতিনিধি এলাকায় থাকলেও জনরোষের ভয়ে অফিসে আসতে পারছেন না।
বিগত দিনে যারা অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন তারাই এখন ভয়ে অফিসে আসছেন না বলে ধারণা করছেন এলাকার উপজেলার সাধারণ মানুষ। দুয়েকজন চেয়ারম্যানরা নিজ বাসায় থেকে অফিস করলেও সেবাপ্রত্যাশীরা তাদের বাসায় যেতে বিব্রতবোধ করছেন।
কার্যালয়ে অনুপস্থিত থাকা জনপ্রতিনিধিরা হলেন, কাজিপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল হান্নান তালুকদার, কাজিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী, সোনামুখী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী, চালিতাডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান মুকুল, মাইজবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন, গান্ধাইল ইউপি গোলাম হোসেন, শুভগাছা ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন।
এ ছাড়া নাটুয়ারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান চান, তেকানী ইউপি চেয়ারম্যান হারানুর রশীদ, নিশ্চিন্তপুর ইউপি খায়রুল কবির, চরগ্রিস ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল হক, খাসরাজবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, মনসুরনগর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক রাজমহর ও ইউপি সদস্যরা আত্মগোপনে রয়েছেন।
মাইজবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা বিলচতল গ্রামের খায়রুল ইসলাম বলেন, আমার একটা জন্ম নিবন্ধন লাগবে। জানি না ইউনিয়ন পরিষদ কবে থেকে চলবে। চেয়ারম্যান, মেম্বার কাউকেই পাচ্ছি না।
পৌরসভায় সেবা নিতে আসা বেড়িপোটল চরপাড়া গ্রামের আব্দুল শেখের স্ত্রী মরিয়ম খাতুন পৌরসভা অফিসে কাউকে না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যান।
নিশ্চিন্তপুর ইউপি চেয়ারম্যান খায়রুল কবির মুঠোফোনে আত্মগোপনে থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, ইউনিয়নের কোনো জরুরি কাজ থাকলে তা রাতের বেলায় বাড়িতেই কাজ করি। আগের মতো অফিসে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। পরিস্থিতি ভালো হলে নিয়মিত অফিস করব।
পৌরসভার কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম কুড়ান বলেন, আমরা একটু কয়েকদিন বাইরে আছি, তবে পৌরসভার কাজ চলছে।
এ বিষয়ে জানতে অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
মন্তব্য করুন