ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২৪, ০৪:১৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ব্রাহ্মণপাড়ায় বিদ্যালয়ে ফিরতে পেরে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা

দীর্ঘদিন ছুটির পর খুলে দেওয়ায় বিদ্যালয়গুলোতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে। ছবি : কালবেলা
দীর্ঘদিন ছুটির পর খুলে দেওয়ায় বিদ্যালয়গুলোতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে। ছবি : কালবেলা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে সরকার পতন ঘটেছে। এতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত ৬ আগস্ট থেকে খুলেছে প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। দীর্ঘ এই ছুটির পর ধীরে ধীরে বিদ্যালয়ে ফিরতে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ে ফিরতে পেরে উচ্ছ্বসিত কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। যদিও শ্রেণিকক্ষে অধিকাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকলেও অনুপস্থিত কিছু শিক্ষার্থী।

সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে আবারও লেখাপড়ায় পূর্ণ মনোনিবেশ করবে শিক্ষার্থীরা এমন আশা করছেন শিক্ষকরা। অন্যদিকে এই দীর্ঘ বন্ধের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে কি না এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় অভিভাবকরা।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) উপজেলা সদরের দীর্ঘভূমি বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আনন্দ ও উচ্ছ্বাসের সঙ্গে পাঠ নিচ্ছেন। পুরোদমে চলছে পাঠদান। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা বিদ্যালয় প্রাণ ফিরে পেয়েছে। অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করতে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পাঠানো হচ্ছে প্রতিনিধি দল।

জানা গেছে, বিদ্যালয় খোলার পর পুরোদমে পাঠদান শুরু হওয়ায় খুশি শিক্ষক আর উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা। তবে অধিকাংশ শিক্ষার্থী পাঠ নিতে এলেও কিছু শিক্ষার্থী এখনো অনুপস্থিত। শিক্ষকরা বলছেন, সব শিক্ষার্থী শিগগিরই বিদ্যালয়মুখী হবে। এ নিয়ে শিক্ষক প্রতিনিধি দল কাজ করছে। পড়াশোনার ক্ষতি পোষাতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মনোনিবেশ বাড়াতে হবে বলে মনে করছেন অনেকেই। তবে নতুন সরকার আবারও শিক্ষা কারিকুলামে পরিবর্তন আনবে কি না এ সংশয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা।

কয়েকজন অভিভাবক জানান, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার পর গত ৬ আগস্ট স্কুল খুলে দেওয়ায় শিশুরা স্কুলে যেতে শুরু করেছে। তবে মাঝখানে বন্ধের সময়টার পড়াশোনার যে ক্ষতি হয়েছে তা যদি পূরণ করা না হয় শিশুরা পিছিয়ে পড়বে। এমতাবস্থায় বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাঠদানে আরও বেশি সচেষ্ট হওয়া জরুরি।

দীর্ঘভূমি বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাসেকুল ইসলাম সরকার রোমান কালবেলাকে বলেন, আমরা অভিভাবক সমাবেশের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু করেছি। বিদ্যালয় খুলে দেওয়ায় আমরা শিক্ষকরাসহ কোমলমতি শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বসিত। আশা করছি দীর্ঘ বন্ধের ক্ষতি আমরা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবো। সে দিক মাথায় রেখেই আমরা শিশুদের পাঠদান দিচ্ছি। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদেরও সচেতন হতে হবে। বাসায় পড়ার টেবিলমুখী করতে হবে শিক্ষার্থীদের।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সাঈদী ও আলেমদের ওপর নির্যাতনের কথা বলায় চাকরি গেল ইমামের

সনি র‌্যাংগসের ৫০ হাজার কোটি টাকা পাচার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে আটকে যায় দুদকের তদন্ত

ইউএনওকে ফোন করে নিজের বাল্যবিয়ে বন্ধ করল স্কুলছাত্রী

১২৭ রানে শেষ বাংলাদেশের ইনিংস

প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিক গেমিংয়ের অনুমতি পেল আবুধাবি

‘গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে আমেরিকা বিভিন্ন দেশে অশান্তি লাগিয়ে রেখেছে’

ছাত্রদলের কর্মসূচি ঘোষণা

ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ভণ্ডামি প্রমাণ করেছে

‘নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ ধরলে কারাদণ্ড’

চবিতে সহপাঠীরা ক্লাসে ফিরলেও শহীদ হৃদয় ও ফরহাদের টেবিলটা রইল ফাঁকা

১০

বিপৎসীমার ওপরে উব্দাখালী নদীর পানি

১১

ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ, ৭৫ রানে নেই ৬ উইকেট

১২

বন্যার প্রবণতা কমাতে শায়খ আহমাদুল্লাহর পরামর্শ

১৩

আন্তর্জাতিক ইসলামিক ফিকহ একাডেমি পরিদর্শন ধর্ম উপদেষ্টার

১৪

যশোরে ডিসি অফিস ঘেরাও, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি

১৫

চামড়াশিল্পকে আমরা উৎসাহিত করব : বাণিজ্য উপদেষ্টা

১৬

অর্থ পাচার ইস্যুতে ব্রিটিশ হাইকমিশন প্রতিনিধিদের সঙ্গে দুদকের বৈঠক

১৭

রংপুরে শিক্ষার্থীদের রেললাইন অবরোধ

১৮

নারায়ণগঞ্জে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৯

পচা টিক্কা দেওয়ায় প্রতিবাদ, গ্রাহককে পিটিয়ে রক্তাক্ত করল স্টার কাবাব

২০
X