জামালপুর পৌরসভার মেয়র, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৬২ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। বুধবার (১৪ আগস্ট) রাতে সুরাইয়া আক্তার নামের এক নারী সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার বাদী সুরাইয়া আক্তার জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি আব্দুল করিমের স্ত্রী।
এতে জামালপুর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানুকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
এতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. সুরুজ্জামান, জামালপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. ফজলুল হক আকন্দ, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মাসুম রেজা রহিম, জেলা যুবলীগের সভাপতি রাজন শাহ রাজু ও সাধারণ সম্পাদক ফারহান আহমেদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবীরুল ইসলাম খান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করিম রাব্বীসহ ৬২ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
জামালপুর পৌর শহরের শাহাপুর এলাকায় আবদুল করিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে আসামিরা ব্যাপক মারধর করেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদী সুরাইয়া আক্তার উল্লেখ করেন, গত ১৯ জুলাই বিকেল ৪টার দিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আসামিরা তার স্বামী আব্দুল করিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে ব্যাপক মারধর করেন। তার স্বামীর বাম হাত ভেঙে দেওয়া হয়। তার পিঠেও আঘাত করা হয়। একপর্যায়ে শটগানের গোড়ালি দিয়ে তাকে আঘাত করা হয়। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে যেতে চাইলে আসামিরা ফাঁকা গুলিও ছোড়েন। আসামিরা তার স্বামীকে রাস্তায় ফেলে কিলঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন। একপর্যায়ে মৃত ভেবে রাস্তায় ফেলে চলে যান। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জামালপুর সদর থানার ওসি মুহাম্মদ মহব্বত কবীর মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কালবেলাকে জানান, বুধবার রাতে ওই নারী পৌরসভার মেয়র,উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৬২ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন। মামলায় বাদী তার স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধরের অভিযোগ এনেছেন।
মন্তব্য করুন